বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ। জাতীয় সংসদে তিনি দাবি করেছেন, তাঁর পকেটে এই সংগঠনের ২ কোটি ভোট। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদে আহলে হাদীসের প্রায় ৩০ জন এমপি রয়েছেন বলেও জানান তিনি। যদিও অনেকে পরিচয় দেন না বলে উল্লেখ করেন রহমতুল্লাহ।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহ।
আহলে হাদীসের প্রধান উপদেষ্টা দাবি করে রহমতুল্লাহ বলেন, ‘আমাকে সভাপতি করতে চেয়েছিল। আমার অফিসে বসে, আমি কমিটি বানিয়ে দেই। আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নেই। এরা কোনো দিন জামায়াত করে না। আহলে হাদিস হলো একমাত্র আমি যেদিকে যাব সেদিকে থাকবে।’
এ সময় রহমতুল্লাহ দাবি করেন, ‘এখানেও (সংসদে) আহলে হাদীসের প্রায় ৩০ জন এমপি আছে। কিন্তু পরিচয় দেয় না।’
একটি পত্রিকার প্রতিবেদন উল্লেখ করে এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, এক-এগারোর পরে কারা পালিয়েছিল মানুষ জানে। ফখরুল সাহেব তুমি তো ধাক্কা দিয়ে মানুষকে ফেলে দিতে চাও। রহমতুল্লাহর পকেটে ২ কোটি ভোট। সারা বাংলাদেশে আহলে হাদীসের ২ কোটি ভোট।’
রহমতুল্লাহ বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময়, আপা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) তখন আমেরিকা থেকে লন্ডনে এসেছেন। আমি ইতালি থেকে লন্ডনে আসি। রিজেন্ট পার্কে একটি ফ্ল্যাটে উঠেছেন। আমাকে খবর পাঠিয়েছেন। আমাকে বললেন, রহমতুল্লাহ, ঢাকায় তো মায়া (মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া), আজম (মির্জা আজম), নানক (জাহাঙ্গীর কবির নানক) নাই। আপনি না গেলে সাহারা (প্রয়াত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন) কি কোনো লোক জোগাড় করতে পারবে? যেহেতু আমি সৎলোক। এলাকার সব রাস্তাঘাট করে দিয়েছি। উন্নয়ন করেছি। আমি এসে ক্যামনে ক্যামনে ২ লাখ লোক জোগাড় করে ফেললাম। তারপর আপাকে রিসিপশন দিলাম। আপা বললেন, এত লোক কেমনে জোগাড় করলেন। আমি বলেছিলাম, আমি পারি।’
আওয়ামী লীগের এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেন আপনাকে মিনিস্টার করলেন না কেন? আমাকে মেয়র সেধেছেন। মিনিস্টার করতে চেয়েছেন।’
গতকাল সোমবারই একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন এমপি রহমতুল্লাহ। আজ তাঁর বক্তব্যের এ পর্যায়ে স্পিকার বলেন, ‘আপনার পয়েন্ট অব অর্ডারটা কী?’ কিন্তু তিনি সেভাবে স্পষ্ট কিছু না বলে বলতে থাকেন, ‘দৈনিক প্রতিদিন—এখানে ফখরুল বলেছেন, এক–এগারোর পর কারা পালিয়েছিল। মানুষ জানে। এটা মিন করছে আমাদের আরকি। আমি পেপারটা আপনার কাছে পাঠিয়ে দেব। আপনি পড়লে বুঝতে পারবেন।’ এই বলেই বক্তব্য শেষ করে বসে পড়েন রহমতুল্লাহ।