আমি আশ্বাস দিচ্ছি, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপদেষ্টা - দৈনিকশিক্ষা

আমি আশ্বাস দিচ্ছি, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপদেষ্টা

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের (নবম) আমি আশ্বাস দিচ্ছি, তাঁরা একভাবে পড়ে ফেলেছে। বাকি কয়েক মাস আছে। কাজেই তাঁদের দশম শ্রেণিতে এসে যদি বিশেষায়িত বিভাগ বিজ্ঞান, মানবিক শাখা বা বাণিজ্য শাখা, বিশেষায়িত বিষয়গুলো নিতে হয়, সেটা তাঁদের তাঁরা নিজেরাই বাছাই করতে পারবে। তারপরও তাঁদের শিক্ষণে একটি ঘাটতি থাকবে। কারণ নবম শ্রেণি তো চলে গেছে। আমি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, তাঁরা যে পাঠ্যপুস্তক আসছে, সেগুলো প্রথম দিকে তাঁরা চালিয়ে যেতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা হবে না।’ শনিবার তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

জাতীয় শিক্ষাক্রম পুরোনো পাঠ্যক্রমে ফিরে যাচ্ছে কি না, জানতে চাইলে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘শিক্ষাক্রমে নীতিগতভাবে আমরা দেখেছি যে এখন যে শিক্ষাক্রম ২–৩ বছর আগে থেকে চালু আছে, এতে সর্বসম্মতিক্রমে  ছাত্র-ছাত্রীদের পিতা-মাতাদের থেকে খবর পাচ্ছি যে এগুলো আমাদের উপযোগী না।

এটা শিক্ষাক্রম বিদেশি ধ্যানধারণা থেকে হঠাৎ করে আনা হয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের যে যোগ্যতা এবং আমাদের যে শিক্ষণপদ্ধতি, এটাতে এগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আবার আমাদের পাঠ্যক্রম চালু রাখতে হবে। আগামী বছরে আবার নতুন পুস্তক দিতে হবে। তাঁর জন্য এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে এগুলো প্রেসে না দিই, বাংলাদেশে যত প্রেস আছে, ২৪ ঘণ্টা কাজ করলেও সেগুলো যথাসময়ে পাওয়া যাবে না। এ কারণে আমরা ন্যূনতমভাবে আগের শিক্ষাক্রমে ফিরে যাচ্ছি, যেখানে শিখনপদ্ধতিও ছিল, পরীক্ষার ব্যবস্থাও ছিল। সেখানে আপাতত সেই পাঠ্যক্রমগুলো, সেই পাঠ্যপুস্তকগুলো ফিরিয়ে আনছি। যারা ইতিমধ্যে নতুন পাঠ্যক্রমে ঢুকে গেছেন। তাঁদের কোনো অসুবিধা হবে না। আমি নবম শ্রেণির কথা বলছি। নবম শ্রেণিতে অনেক দূর নতুন পাঠ্যক্রমে পড়াশোনা হয়ে গেছে, তাঁদের মূল্যায়নও এভাবে হয়ে গেছে। বাকি কয়েক মাস আছে। এই  কয়েক মাসে অন্তত একটা ছকের মধ্যে এনে, খুব দ্রুত একটা গবেষণা করে, যারা শিক্ষাবিদ আছেন, যে বইগুলো আছে, এর ভিত্তিতেই একটা  কিছু করা হবে। অন্তত তারা পরীক্ষা দিক। পরীক্ষা না দিলে তো আমাদের দেশে যে শিক্ষাব্যবস্থা তা দিয়ে মূল্যায়ন সঠিকভাবে হবে না। এ ব্যবস্থায়  দশম শ্রেণিতে এসে বাণিজ্য বিভাগ, মানবিক বিভাগ বা বিজ্ঞান বিভাগ বেছে নেওয়ার যে ব্যবস্থা তাতে ফিরে যাচ্ছি।’

ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এটা এই নয় যে কোনো একটা শিক্ষাক্রমকে বাতিল করে দিচ্ছি, আরেকটা পাঠ্যক্রমকে গ্রহণ করছি। এখন আমাদের সময় নেই, সে জন্য আমরা এ ব্যবস্থাগুলো করছি; কিন্তু আগামী বছরও সারা বছর ধরে কিছু পরিপত্র জারি করে কিছুটা যে দুর্বলতাগুলো আগের শিক্ষাক্রমে আছে, সেগুলোকে সংশোধন করার চেষ্টা করব। অবশ্যই তা বাস্তবায়নযোগ্য হতে হবে। কোনো কারিকুলাম বাতিল করছি না, কোনো পুরোনো কারিকুলামেও ফেরত যাচ্ছি না। এই মুহূর্তে আমার পাঠ্যপুস্তক ছাপাতে হবে। সেই জন্য আমি আগের পাঠ্যপুস্তকে ফিরে যাচ্ছি। এর মানে নয় যে আগের কারিকুলামে ফেরত যাচ্ছি বা নতুন কারিকুলাম বাতিল হয়ে গেল। এই কারিকুলাম ভেতরেও কিছু কিছু ভালো জিনিস ছিল। আমরা তো আগামী বছরজুড়ে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসে মাঝে মাঝে পরিপত্র জারি করে যতটুকু সংশোধন করা যায় তা করব।’

অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এ সময় আরও বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা ও গণশিক্ষার আরেকজন উপদেষ্টা আছেন। তাঁর সঙ্গে বিষয়টি সমন্বয় করতে হচ্ছে। যদিও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেই আগামী বছরের জন্য কী শিক্ষাক্রম করছি, সেটা পরিপত্র তৈরি হচ্ছে। যখন পরিপত্র জারি হবে এবং স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, তখন বিভ্রান্তি থাকবে না। প্রথম থেকে দশম পর্যন্ত ঠিক কীভাবে থাকবে, এখন মুখস্থ বলতে পারছি না। এটুকু বলতে পারি, এমনভাবে সাজানো হয়েছে, কোথাও কোনো গ্যাপ তৈরি না হয়। সব ছাত্রই এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে যেতে পারবে, অসুবিধা হবে না।’

শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি - dainik shiksha ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা ঢাবিতে ভর্তি আবেদনের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha ঢাবিতে ভর্তি আবেদনের সময় বৃদ্ধি সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ ই-রিকুইজিশনের সংশোধন অপশন চালু - dainik shiksha ই-রিকুইজিশনের সংশোধন অপশন চালু এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক - dainik shiksha এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন ২ হাজার ৯২৩ শিক্ষক - dainik shiksha উচ্চতর স্কেল পাচ্ছেন ২ হাজার ৯২৩ শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0069148540496826