আয়ের সঙ্গে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের। চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালীর একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বার্ষিক আয় কমেছে। ৩০ হাজার টাকার আসবাব আছে চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে এই তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হলফনামায় সম্পদের যে বিবরণী দিয়েছেন, তাতে এসব হিসাব পাওয়া গেছে। হলফনামার তথ্য অনুুযায়ী, সরকারি বেতনভাতার বাইরে হাছান মাহমুদের বছরে আয় ৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৬৩ টাকা। স্ত্রীর আয় দেখানো হয়েছে ১০ লাখ ৫৭ হাজার ৩৩৩ টাকা। তথ্যমন্ত্রীর নগদ অর্থের পরিমাণ ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা; স্ত্রীর ৪০ হাজার। বিয়ের সময় উপহার পাওয়া ৫ ভরি স্বর্ণ আছে হাছান মাহমুদের; স্ত্রীর আছে ৫০ ভরি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় হাছান মাহমুদের বার্ষিক আয় ছিল ২৬ লাখ ৬২ হাজার ৬০৩ টাকা। স্ত্রীর নুরান ফাতেমার ছিল ২৪ লাখ ৭৮ হাজার ২২৫ টাকা।
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার খুলশী মৌজায় ড. হাছান মাহমুদের ৬ কাঠা জমি রয়েছে, মূল্য দেখানো হয়েছে ১৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া রাজধানীর পূর্বাচলে ৭ দশমিক ৫ কাঠা জমি রয়েছে, ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে প্রবাসী বাংলাদেশি কোটায় আবেদন করে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে বরাদ্দ পান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তার বার্ষিক আয় ৭৪ লাখ ১২ হাজার ৯৭ টাকা। চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক এ সভাপতির বাসায় আসবাব আছে ৩০ হাজার টাকার; স্ত্রীর আসবাবের মূল্য ১০ হাজার টাকা। হলফনামায় মন্ত্রীর কৃষি খাত থেকে বছরে আয় দেখানো হয়েছে ৮৩ হাজার টাকা।
নগদ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ও বৈদেশিক মুদ্রা মিলিয়ে বর্তমানে মন্ত্রীর হাতে রয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৭২ হাজার ২৩৫ টাকা। একাদশ নির্বাচনের সময় ছিল ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪১৭ টাকা। বিভিন্ন কোম্পানিতে তার শেয়ার রয়েছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ ৪৪ হাজার ২৫০ টাকার। নিজের ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির পাশাপাশি কৃষিজমি রয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৯০৬ টাকার এবং অকৃষি জমি ১০ কোটি ৬ লাখ ৪১ হাজার টাকার।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় নওফেলের বার্ষিক আয় দেখানো হয় ৫০ লাখ ৪৫ হাজার ৩০০ টাকা। এবার দেখানো হয়েছে ৭৯ লাখ ২৮ হাজার ৭২৮ টাকা। ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। বর্তমানে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে ব্যাংকের কাছে। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ছিল ৩২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
চট্টগ্রাম-১৫ আসনে নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর ৯০ ভরি স্বর্ণ রয়েছে। তবে নগদ টাকায় নদভীকে ছাড়িয়ে গেছেন স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী। নদভীর নগদ টাকার পরিমাণ ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯৪১ টাকা, স্ত্রীর আছে ২০ লাখ ২১ হাজার ২৪৬ টাকা। নদভীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৪ টাকা এবং তার স্ত্রীর রয়েছে ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৫ টাকা।