শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে নানা আয়োজনে সিলেটের জৈন্তাপুরের আর এম প্রিপারেটরী স্কুলে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ গতকাল সোমবার স্কুল কর্তৃপক্ষ এ উৎসব আয়োজন করে।
পিঠা উৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের আগমনে স্কুল প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। আনন্দ-উচ্ছ্বাসে দিনটি পার করেন সবাই। শিশুদের আবৃত্তি, গান, নৃত্য ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অথিতিদের মুগ্ধ করে।
উদ্বোধনের সময় স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, পিঠা খাওয়ার দাওয়াতের প্রচলন এদেশের সংস্কৃতির একটি অংশ। শীতের সকালে এক বাড়িতে পিঠা বানিয়ে পাড়ার মানুষকে খাওয়ানো এখনো গ্রামের রীতি। আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে কিংবা জামাই আপ্যায়নে পিঠার বেশ কদর রয়েছে। পিঠা উৎসব মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটায়, আনন্দে উদ্ভাসিত করে। আমরা আমাদের ছোটো ছোটো ছেলে-মেয়েদের সেই সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করি।
প্রধান অতিথি জৈন্তাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, নতুন প্রজন্মকে বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির ছোঁয়ায় বড়ো করে তুলতে হবে। নিজ জাতির সংস্কৃতি জানলেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের প্রতিটি শিশু সফল হবে। তারাই দেশকে সফল করবে। বাঙালির অত্যন্ত মূল্যবান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। এটা শিশুদের জানাতে হবে।