'জন্ম-মৃত্যু আল্লাহর হাতে। ডাক্তার আমাকে বলেছে আমি চার বছর বাঁচবো। ইতোমধ্যে এক বছর চলে গেছে। আমি অসুস্থ। আমাকে জামিন দিন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালত ১১ আসামির রিমান্ড ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী, নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব মো. বোরহান উদ্দিন, মহসিন মিয়া প্রমুখ আইনজীবী। তারা শুনানি করার পর আদালতকে বলেন দুলু কিছু বলতে চান।
এ সময় দুলু আদালতকে বলেন, আমি ক্যানসারের রোগী। অনেক অসুস্থ। এক বছর যাবৎ কেমো নিচ্ছি। এক মাস পর পর কেমো নিতে হয়। যে মেডিসিন নিতে হয় তা আমেরিকা থেকে ভারত হয়ে আনতে হয়। গত ৩ অক্টোবর কেমো নেয়ার ডেট ছিলো। কেমো না আসায় গত তারিখে নিতে পারিনি। অনেক টাকা লাগে। টাকাও ম্যানেজ করতে পারিনি। এখন ম্যানেজ করেছি। কিন্তু এর মাঝে আমাকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, জন্ম-মৃত্যু আল্লাহর হাতে। ডাক্তার আমাকে বলেছে আমি চার বছর বাঁচবো। এর মধ্যে এক বছর চলে গেছে। আমি আর তিন বছর বাঁচবো। আপনার কাছে আমার আবেদন, শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আমাকে জামিন দিন।। পুলিশ দেখেছে আমি অসুস্থ। এ কারণে তারা রিমান্ডও চায়নি।
তখন বিচারক জানতে চান, ক্যান্সারের রোগী হয়ে সভা-সমাবেশে যোগ দেন কেমনে? এর কোনো উত্তর দেননি দুলু।
আদালত দুলুর জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর ১১ আসামির ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বাড্ডা থানার এক মামলায় দুলুসহ ১২ আসামিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করে ১১ জনকে ৫দিন করে ও দুলুকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশানা জোনার টিমের সাব ইন্সপেক্টর রিপন মিয়া।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ১৭ অক্টোবর বাড্ডা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে বাড্ডা থানাধীন বৈঠাখালী ৩০ ফিট রাস্তার মাথায় গ্রিন টাওয়ার এর নিচ তলায় কিছু সংখ্যক লোক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সমবেত হয়েছে মর্মে সংবাদ পায় পুলিশ। রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে ওই স্থানে পৌঁছা মাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। আক্রমণের ফলে এসআই মানিক কুমার সিকদার গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন। এএসআই আল মামুন পারভেজ ও কনস্টেবল মোতাহার হোসেনসহ অন্যান্য অফিসারদের এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম করে।