আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর দেশটির মানুষ মেসি-জ্বরে ভুগছে। সেই জ্বরের ঘোর এতটাই যে আর্জেন্টাইনদের একটি বড় অংশ লিওনেল মেসিকে প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে ভোটও দিতে রাজি! সাম্প্রতিক এক জরিপে এ তথ্য জানিয়েছে আর্জেন্টিনার তথ্য-বিশ্লেষণী ও জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান ‘জ্যাকোব্বে অ্যান্ড অ্যাসোসিয়াদোস’।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র খবর, ১৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয়ের পর এই জরিপ চালায় প্রতিষ্ঠানটি। জরিপে উঠে এসেছে, আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক মেসিকে দেশের জনগণের একটি বড় অংশ প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে ভোট দিতে আগ্রহী। দীর্ঘ ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে এবার তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারজয়ী মেসির ভূমিকাই তাতে বেশি। নিজে করেছেন ৭ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ৩ গোল।
প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র হোর্হে জ্যাকোব্বের প্রকাশিত জরিপের তথ্য-উপাত্তই জানিয়েছে মার্কা। জরিপে অংশ নেওয়া ৪৩.৭ শতাংশ আর্জেন্টাইন নাগরিক মেসিকে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে তাঁকে ভোট দিতে চান। ৩৭.৮ শতাংশ নাগরিক অবশ্য এই মতের বিপক্ষে। মেসিকে তাঁরা আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান না। তাই মেসি প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়ালে তাঁর পক্ষে ভোটও দেবেন না। ১৭.৫ শতাংশ আর্জেন্টাইন মেসিকে ভোট দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবেন। আর ০.৯ শতাংশ আর্জেন্টাইন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি কিংবা উত্তর দেননি।
‘জ্যাকোব্বে অ্যান্ড অ্যাসোসিয়াদোস’-এর তথ্য থেকে মার্কা জানিয়েছে, জরিপে আর্জেন্টিনার রাজনীতিবিদদের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন মেসি। পিএসজি তারকা একাই পেয়েছেন ৩৬.৭ শতাংশ ভোট। রাজধানী বুয়েনস এইরেসের ফেডারেল ডেপুটির দায়িত্ব পালন করা রাজনীতিবিদ হাভিয়ের মিলেই পেয়েছেন ১২ শতাংশ ভোট।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ কির্চনার পেয়েছেন ১১.৩ শতাংশ ভোট। রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান প্রপোজালের প্রধান ও মরিসি মাক্রি প্রেসিডেন্ট থাকতে নিরাপত্তামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা প্যাট্রিসিয়া বুলরিখকে ৮.৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন। ৬.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মরিসিও মাক্রি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ পেয়েছেন ১.৩ শতাংশ ভোট। এর বাইরে আরও তিন-চারজন রাজনীতিবিদকেও ভোট দিয়েছেন আর্জেন্টাইনরা। তবে কেউ ৩ শতাংশ ভোটও পাননি।
বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ভবন কাসা রোসাদায় গিয়ে উদ্যাপন করেননি মেসিরা। এ নিয়েও জরিপে নিজেদের মতামত দিয়েছেন আর্জেন্টাইনরা। ৮২.৯ শতাংশ আর্জেন্টাইন এই সিদ্ধান্তের পক্ষে। ১৫.৮ শতাংশ নাগরিক মনে করেন, এটি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। বাকি ১.৪ শতাংশ আর্জেন্টাইন মতামত দেননি।