দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : সরকারি-বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা আসন খালি থাকা স্কুলগুলোতে সরাসরি ভর্তি হতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তাদের লটারিতে অংশ নিতে হবে না। আসন খালি থাকা স্কুলগুলো শূন্য আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভর্তি করতে পারবেন।
এখনও বেশি কিছু শিক্ষার্থী স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি। কেন্দ্রীয় লটারিতে অনেকের ভর্তির সুযোগ মেলেনি। লটারির পর সরকারি স্কুলগুলোতে ১৮ হাজার এবং মহানগর ও জেলা পর্যায়ের বেসরকারি স্কুলগুলোতে ৮ লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, স্কুলে কোনো আসন সংকট নেই। যেসব শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারেনি তারা আসন খালি থাকা স্কুলগুলোতে সরাসরি ভর্তি হতে পারবে।
জানা গেছে, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সরকারি ও সরকারিকৃত ৬৫৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য ১ লাখ ১৮ হাজার আসনে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৩৯ জন শিক্ষার্থী। এসব আসনে ভর্তির জন্য ৫ লাখ ৬৩ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। অপর দিকে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে মহানগর ও জেলা সদরের ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন ২ লাখ ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে শূন্য ছিলো ১০ লাখ ৩ হাজার আসন।
অধিদপ্তর সূত্র বলছে, বিপুল পরিমান আসন খালি থাকলেও শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ নির্দিষ্ট কয়েকটি স্কুলে ভর্তির আবেদন করেছিলেন। ফলে ভর্তির সুযোগ মেলেনি।
অভিভাবকরা বলছেন, অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে তারা দিন পার করছেন। কোথায় সন্তানদের ভর্তি করবেন, অনেকেই বুঝে উঠতে পারছেন না। সব স্কুলের মান যদি একই হত, সে ক্ষেত্রে এ সমস্যা অনেকটাই কমে যেত। এক স্কুলে না হলে অন্য স্কুলে ভর্তি করতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হত না।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, স্কুলগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ আসন খালি আছে। লটারিতে যেসব শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পায়নি, তারা আসন খালি থাকা স্কুলগুলোতে সরাসরি ভর্তি হতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তাদের নতুন করে লটারি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে না। শূন্য আসনের বিপরীতে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেবে।