আয়নাঘর সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন - দৈনিকশিক্ষা

আয়নাঘর সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

‘আয়নাঘর’ নামের গোপন বন্দিশালার বাস্তব অবস্থা, পরিচালনাকারী, আটক ব্যক্তিদের সংখ্যা ও তাদের পরিচয় সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য জানতে চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে এসব তথ্য জানতে চেয়েছে কমিশন। ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে এসব তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

এতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার কমিশন স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে এবং আয়নাঘর সম্পর্কে পরিপূর্ণ তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে আয়নাঘর সম্পর্কিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই সময়ে আরও কোনো ব্যক্তি নির্যাতন সেলে (আয়নাঘরে) আটক থাকলে দ্রুত মুক্ত করা ও আয়নাঘর তৈরির নেপথ্য কারিগরদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিগত সরকার পতনের পরের দিন থেকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনেকেই পরিবারের কাছে ফিরতে শুরু করেছেন। এতে গত দেড় দশকে সরকারের গুমের ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পায়। দীর্ঘদিন আয়নাঘরে আটক ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার থেকে যে ভয়ংকর চিত্র ফুটে উঠেছে, তা অত্যন্ত নির্মম ও অমানবিক।

কমিশন বলছে, কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রকাশ্য আদালতে দ্রুত বিচার করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও আয়নাঘরে বন্দিদের বিচারের সম্মুখীন না করে বছরের পর বছর গোপনে আটক করে রাখা হয়েছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করে, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় এ ধরনের গোপন বন্দিশালায় বছরের পর বছর আটক রেখে বন্দিদের যে শারীরিক ও অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে, তা একাধারে সংবিধান ও আইনের শাসনের পরিপন্থি ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বিনা বিচারে আটক থাকার ফলে বন্দিদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। বন্দিদের প্রত্যেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার দাবিদার।

পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034780502319336