শিক্ষক নিবন্ধন সনদ পেতে আর ঝামেলা পোহাতে হবে না। এই সনদ তুলতে আর আসতে হবে না বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনলাইনে নির্ধারিত প্রক্রিয়া শেষ করে সনদ তুলতে পারবেন নিবন্ধনধারীরা। অর্থাৎ এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে থাকা লিঙ্কের মাধ্যমে নিবন্ধিত প্রার্থীরা তাদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ই-সনদ ডাউনলোড পারবেন। এই লিঙ্ক দেবে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক।
গতকাল মঙ্গলবার এনটিআরসিএর কার্যালয়ে শিক্ষা সাংবাদিকদের নিয়ে সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ক অংশীজন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় এনটিআরসিএর টেকনিক্যাল সহায়তাদানকারী টেলিটকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এনটিআরসিএর দেয়া প্রত্যয়নপত্র বা সনদ পেতে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে চালু হওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে হতো। যা ছিলো ঝামেলার।
আগের পদ্ধতি অনুযায়ী এনটিআরসিএকে নিবন্ধিত প্রার্থীদের সনদ প্রস্তুত করে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠাতে হতো। পরবর্তীতে নিবন্ধিত প্রার্থীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে এসে সনদ তুলতে পারতেন। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরানো সেই পদ্ধতি আর থাকছে না। এবার সনদ উঠানোর প্রক্রিয়া আরো সহজ হবে।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬২টি সনদ ইস্যু করেছে।
গতকালের কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন দপ্তরটির চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী।
লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক, পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার পরিচালক আবদুর রহমান এবং শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার পরিচালক কাজী কামরুল আহছান।
আরো ছিলেন এনটিআরসিএ‘র সদস্য শাহাদাত হোসেন, উপপরিচালক রুহুল কুদ্দুস চৌধুরী, দীনা পারভীন ও শাহীন আলম চৌধুরী, সহকারী পরিচালকদের মধ্যে ছিলেন ফিরোজ আহমেদ, শারমিন সুলতানা, তাজুল ইসলাম, ফারজানা রসুল, মোস্তাক আহমেদ, ফয়জার আহমেদ, লুৎফুর রহমান, মাইনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, সহকারী পোগ্রামার রফিকুল ইসলাম এবং সিস্টেম এনালিস্ট মোস্তফা নুরুন্নবি শাকিল প্রমুখ।
এনটিআরসিএ জানায়, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সর্বশেষ ৫ম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৯২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা হয়েছে। শিক্ষক সংকট দূর করতে সংস্থাটি প্রতিবছর ১টি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পন্ন করতে চাচ্ছে। এর জন্য সম্প্রতি তারা শিক্ষক শূন্য পদের সম্ভাব্য ৩ তিন বছরের চাহিদার তথ্য নিচ্ছে।
এ ছাড়াও কীভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্থাটির চলমান কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায় এ বিষয়ে কর্মকর্তা ও উপস্থিত সাংবাদিকদের মতামত নেয়া হয় সভায়।
এনটিআরসিএ আরো জানায়, এখন থেকে ওয়েবসাইটে থাকা লিঙ্কের মাধ্যমে যে কেউ সনদের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রেও সনদ যাচাইয়ের লিঙ্ক দেবে টেলিটক।
এর আগে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে চালু হওয়া পদ্ধতিতে নিবন্ধিত প্রার্থীদের এনটিআরসিএ অফিসে এসে সনদ যাচাই করতে হতো। তবে নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী সেই ঝামেলা থাকলো না।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো। সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো। কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।