যশোর বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে ইংরেজি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ফেল করেছেন। অন্যান্য বিষয়ে পাসের হার ৯০ শতাংশের হলেও ইংরেজিতে পাস করেছেন মাত্র ৬৮ শতাংশ।
ইংরেজি বিষয়ে বেশি ফেল করায় সামগ্রিক ফলাফলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
গত বছরও ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা খারাপ করেছিল। এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৭৪৯ জন শিক্ষার্থী। গত বছর পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮ হাজার ১২২ জন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে যশোর বোর্ডের এ চিত্র উঠে এসেছে।
বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছে, ইংরেজিতে অনুত্তীর্ণের হার বেড়ে যাওয়ায় বোর্ডের সার্বিক ফলাফলে এর প্রভাব পড়েছে।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণরা করোনা মহামারির সময় ২০২০ ও ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে ৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করেছে। তখন শ্রেণিকক্ষে তাদের পাঠদান সম্ভব না হওয়ায় তাদের ইংরেজিতে দুর্বলতা রয়ে গেছে। যা এখনো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। পরীক্ষার্থীদের ৩১ শতাংশ ইংরেজিতে অনুত্তীর্ণ হয়েছে। এই প্রভাব পড়েছে সার্বিক ফলাফলে। আগামীতে বোর্ডের ফলাফল ভালো করার জন্য তারা পদক্ষেপ নেবেন।
যশোর বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায়, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ড থেকে এক লাখ ২২ হাজার ৫১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭৮ হাজার ৭৬৪ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৩৬ হাজার ২৪৭ জন এবং ছাত্রী ৪২ হাজার ৫১৭ জন। পাসের হার ৬৪ দশমিক ২৯। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৪৯ জন। বহিষ্কৃত হয়েছেন ১৩ জন। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ড থেকে এক লাখ ৯ হাজার ৬৩৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৭৬ হাজার ৬১৬ জন।
উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্র ৩৫ হাজার ৮৮৫ জন এবং ছাত্রী ৪০ হাজার ৭৩১ জন। পাসের হার ছিল ৬৯ দশমিক ৮৮। জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৮ হাজার ১২২ জন। বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ২৭ জন।
এবারের ফলাফলের চিত্র তুলে ধরে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ জানান, অন্যান্য বোর্ডের তুলনায় যশোর বোর্ডের ফলাফল খারাপ হয়েছে। বিশেষ করে ইংরেজি পরীক্ষায় ৩১ শতাংশ অনুত্তীর্ণ হওয়ায় সার্বিক ফলাফলের ওপর এর প্রভাব পড়েছে।
ভবিষ্যতে ফলাফল ভালো করার জন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ।