নীলফামারীর মীরগঞ্জহাট ডিগ্রি কলেজের অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ নিয়ে মামলা চলমান। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। তা সত্ত্বেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সই না নিয়েই কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ১ কোটি টাকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সোনালী ব্যাংকের মীরগঞ্জহাট শাখার ব্যবস্থাপক মনছার আলীর বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই কলেজের সাবেক সভাপতি খয়রাত হোসেনের মেয়াদ ১১ মাস থাকা অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেয় আবুল কালাম আজাদ নামের অপর ব্যক্তিকে। তিনি সভাপতি হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবুজার রহমানকে অব্যাহতি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেন ওই কলেজের প্রভাষক মিজানুর রহমানকে। এরপর সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন- ভাতা দেয়ার আদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে আদালত আদেশ দিলে তার বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আপিল করেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক অধ্যক্ষ আবুজার রহমান। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতির সইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। উচ্চ আদালতের আদেশের বিষয়টি অবগত করা হলেও সোনালী ব্যাংক মীরগঞ্জহাট শাখার ব্যবস্থাপক মনছার আলী তা মানেননি বলে অভিযোগ সাবেক অধ্যক্ষ আবুজার রহমানের।
আবুজার রহমান বলেন, আদালত ইউএনও ও সভাপতির সইয়ে বেতন-ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেন। ব্যাংক ম্যানজারও বিষয়টি জানেন। তা সত্ত্বেও ইউএনর সই ছাড়াই বেতন-ভাতা ছাড় দিয়েছেন তিনি। এটা আদালত অবমাননার শামিল।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক মীরগঞ্জহাট শাখার ব্যবস্থাপক মনছার আলী বলেন, ‘আমি আইনের মানুষ নই। আইন কম বুঝি। তবে আমি ইউএনওর সই চেয়েছিলাম। তিনি দেননি। পরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের আইনজীবীর মতামত নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিয়েছি।’
জানতে চাইলে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ময়নুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ জানাননি। তবে ওই প্রতিষ্ঠানে নতুন কমিটি গঠনে অনিয়ম হয়েছে মর্মে অভিযোগ পেয়েছি।