বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট আশুলিয়ায় পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা করেছেন বেসরকারি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রবিউস সানি শিপু। গত ১১ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানার ২৬ নম্বার মামলায় ধারা ১৪৭, ১৪৮, ১৫৩, ১২০ (বি), ৩২৩, ৩২৬, ৩০৭, ১০৯, ৩৪ পেনাল কোডে ২৯ জনকে আসামি করা হয়। এতে ইউজিসির ফেরদৌস জামানসহ আসামি হয়েছেন ১৩ কর্মকর্তা।
মামলার এজহারে আসামি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, সাবেক সচিব ফেরদৌস জামান, সাবেক সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ড. সাজ্জাদ হোসেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুক, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. জামিনুর রহমান, মো. ফজলুর রহমান, সহকারী পরিচালক ফরিদুজ্জামান, উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ, মো. গোলাম দস্তগীর, ইউসুফ আলী খান ও অতিরিক্ত পরিচালক শাহীন সিরাজ, এবং মো. শরিফুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
ইউজিসির অপসারিত সচিব ফেরদৌস জামানকে গ্রেফতার দাবি
আইন ভেঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল ইউজিসি সচিব ফেরদৌস
এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে সাফি মোদ্দাসের খান জ্যোতি, আশুলিয়া থানার সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম এবং পুলিশের বিভিন্ন সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মোট ১৬ জনকে আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি-সোটা, দেশিয় অস্ত্র দিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে আহত করার অভিযোগে আসামি করা হয়।
ইউজিসির সাবেক সদস্য এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ হিসেবে এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে অন্যায় আদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করা, উসকানি, ষড়যন্ত্র ও পূর্ব পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করে সংঘটিত অপরাধে সহযোগী হিসেবে কাজ করার কথা বলা হয়। এছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সশরীরে এবং ফোনে হুমকি প্রদান করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার পক্ষে সাফাই গাওয়া এবং উসকানিদাতা এবং সংঘটিত অপরাধে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে রবিউস সানি শিপু বলেন, আমাকে যারা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেন তাদের আইনের আওতায় আনতে মামলা দায়ের করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বন্ধ ঘোষণা করার জন্য বল প্রয়োগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। অনেকে সরাসরি জুলাই গণহত্যার সাফাই গেয়ে এটিকে সমর্থন জানায়। ফলে আমি তাদেরকে আসামি করে মামলা করেছি।
ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান, সদস্য এবং বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ জানান, আমরা এ বিষয়টি আজকেই কেবল শুনেছি। কমিশনে যারা নতুন সদস্য হিসেবে যোগদান করেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই করণীয় ঠিক করবো।