ড. ইউনূসের প্ররোচনায় আমেরিকা স্যাংশনের ঘোষণা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে ঘায়েল করার জন্য এই পায়তারা করছেন ইউনূস তার প্রিয়জন হিলারী ক্লিনটনের মাধ্যমে। নোবেলে শান্তি পুরস্কারকে অশান্তির কাজে লাগাতে যুদ্ধবাজ আমেরিকা রাজনীতিবিদ হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে গাঁট বেঁধেছেন ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের "জুলি ও কুরি" শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বাইডেন প্রশাসনে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে, এমনকি ইউরোপ ইউনিয়নেও। তাদেরকে পথ দেখাচ্ছেন এবং এদের তদবিরকে ভিত্তি দিচ্ছে তিনি। ড. ইউনূস অনেক জায়গায় বলেছেন, জীবনের শেষে এসেও প্রতিশোধ নেবেন। এই প্রেক্ষিতেই বিদেশিরা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অতি উৎসাহী হয়ে ওঠেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয়নি। অপশাসন, দুঃশাসন সব বিষয়ে প্রতিবাদ করেছেন সুশৃঙ্খলভাবে। শান্তির মধ্য দিয়ে। দেশে একটা গোষ্ঠী অশান্তি চায়। তাদের লক্ষ্য থাকে সরকারকে বিপাকে ফেলা। কারণ দেশে অশান্তি সৃষ্টি হলেই অন্য দেশগুলো সুযোগ পায়। ব্যবসায়িক দিক থেকে তারা সুবিধা নেয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত অসুবিধার কথা উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়নে সফল হয় না, সফল হয় শিক্ষকদের মান অনুযায়ী। পুরান ঢাকায় আবাসন খরচ গুলশান বনানীর চেয়ে বেশি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা প্রকট। তাদের একটি দাবি আছে, এ বিষয়ে সরকার জানেন।
কর্মমূখী শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রত্যেক দেশেই উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রের মধ্যে একটা গ্যাপ রয়েছেন আমাদের এই দূরত্ব কমাতে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান আপনারা কর্মমুখী শিক্ষা ও দক্ষতা সম্পন্ন প্রশিক্ষণ গ্ৰহণ করেন। জাতির পিতা আমাদের মাঠে নামতে এবং দক্ষতা অর্জন করতে বলেছেন। আমাদের মানসিক প্রতিবন্ধকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা কামনা করি শিক্ষার্থীরা মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্তিতি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির নেতাসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।