রাজধানীর ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ক্রিকেট স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে হাতের আঙুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি নুজহাত ফারিয়া রোকসানার বিরুদ্ধে। পেটানোর পর তিনি টেনে চুল ছিঁড়ে ফেলেছেন। ধাওয়া করেন বঁটি নিয়ে।
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন রোকসানা। তিনি বলেন, ‘সে আমার আদরের ছোট বোন। তাঁকে মারধর করা হয়নি। কথা-কাটাকাটি হয়েছে। পাশাপাশি থাকলে একটু কথা-কাটাকাটি হয়, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।’
কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের একটি কক্ষে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ছাত্রী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষে পড়েন।
ওই ছাত্রী ছাড়াও হলের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা হল সুপার নাজমুন নাহার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার অভিযোগ সমর্থন করে রোকসানার শাস্তি দাবি করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ভয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেত্রী রোকসানা টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে তোলেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন এবং নিজের কাপড় ধোয়ানোসহ ব্যক্তিগত কাজ করান আমাদের দিয়ে। আমি প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার ওপর হামলা করেন। স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে আঙুল ভেঙে দিয়েছেন। টেনে চুল ছিঁড়ে ফেলেছেন। নিরাপত্তার কারণে হলে ফিরতে পারছি না, বাইরে থাকতে হচ্ছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
সূত্র জানায়, নুজহাত ফারিয়া রোকসানা হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এর আগেও আরেক ছাত্রলীগ নেত্রীকে মারধর, সিট-বাণিজ্য, নির্যাতন করার অভিযোগে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন ছাত্রলীগের এই নেত্রী।
জানতে চাইলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের সুপার নাজমুন নাহার বলেন, ‘দুজনই পলিটিক্যাল। একজন অপরজনকে মারধর করেছে বলে শুনেছি। আমি দুজনকে ডেকেছি। বিষয়টি সমাধান করব।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক রাজনীতির শৃঙ্খলা পরিপন্থী। শিক্ষার্থীর আত্মসম্মানে আঘাত। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, সেটি অবশ্যই অপরাধ। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।