কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পাঁচ বিভাগের নিজস্ব শ্রেণিকক্ষ নেই। এসব বিভাগের ক্লাস চলে ধার করা শ্রেণিকক্ষে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ ও শিক্ষার্থী বাড়লেও বাড়ে না সুযোগ-সুবিধা।
জানা গেছে, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে অপরিকল্পিতভাবে আটটি বিভাগ খোলা হয়। তার মধ্যে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান এবং ফার্মাসি বিভাগ পাঁচ বছর পর গত বছর শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ পেয়েছে। তবে ল্যাব, সেমিনারকক্ষ ও পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই এখনো।
অন্যদিকে একই সময় চালু হওয়া আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন অধ্যয়ন, সমাজকর্মসহ পরে খোলা আরও দুটি বিভাগ চারুকলা ও মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের নেই কিছুই। পাঁচটি বিভাগে শিক্ষার্থী রয়েছেন এক হাজারের বেশি। এসব বিভাগের কারও নেই নিজস্ব শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবসুবিধা, সেমিনারকক্ষ ও শিক্ষক। বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হচ্ছে অন্য বিভাগ থেকে ধার করা একটি বা দুটি কক্ষে।
নতুন বিভাগগুলোতে প্রতিবছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে অন্য বিভাগের শিক্ষকদের ওপর ভর করে।
এদিকে নতুন করে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণিতে শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন শিক্ষার্থী। তাঁদের জন্য রয়েছেন একমাত্র বিভাগের সভাপতি গণিত বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মিজানুর রহমান। শ্রেণিকক্ষ, অফিস ও শিক্ষকের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এসব সংকট সারা দেশে আছে। আমাদেরও আছে। হুট করে তো এসব সমাধান করা যাবে না। নতুন ভবনের কাজ হচ্ছে। আস্তে আস্তে সব বিভাগ শ্রেণিকক্ষ পাবে।’