ঈদের ছুটি শেষে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল খোলার প্রথম দিনই চুরির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে হলের ১১৭ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম কক্ষে প্রবেশের পর এ অভিযোগ করেন। ব্যালকনির গ্রিল কেটে তার কক্ষে থাকা ৪০ হাজার টাকা সমমূল্যের ডেস্কটপ কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, ক্যাম্পাসে এসে বিকেল ৫টার দিকে তিনি কক্ষের তালা খোলেন। তালা খুলে বুঝতে পারেন দরজার ছিটকিনি ভেতর থেকে আটকানো। পরে অনেক চেষ্টায় দরজা খুলতে ব্যর্থ হলে তিনি দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের সহায়তায় হলের পেছন দিকে গিয়ে ব্যালকনির দুটি গ্রিল কাটা দেখতে পান। একই সঙ্গে পেছনের দিকের ব্যালকনির দরজা খোলা পান তারা। জানালার ভাঙা অংশ দিয়ে দরজা খোলা হতে পারে ধারণা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্যদের।
ওই শিক্ষার্থী জানান, তার কক্ষ থেকে ৪০ হাজার টাকা সমমূল্যের ডেস্কটপ কম্পিউটার চুরি হয়েছে। একই সঙ্গে কক্ষের বিভিন্ন জিনিসপত্র অগোছালো দেখনে পান তিনি। এছাড়াও তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রুমমেটের ম্যাগনিফায়িং মেশিন ভাঙা অবস্থায় দেখনে পান তিনি।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, বাড়ি যাওয়ার সময় ভালোভাবেই দরজা জানালা আটকিয়েছিলাম। কিন্তু জানালার একটা কাচ ভাঙা ছিল। গ্রিল কেটে ওই জায়গা দিয়ে পেছনের দরজা খোলা যায়। আমার ৪০ হাজার টাকা দামের কম্পিউটার চুরি হয়েছে। বাকি দুই রুমমেট এলে কী কী ক্ষতি হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যাবে। এ অবস্থা দেখে আমি প্রভোস্টকে বিষয়টি জানালে তারাও ঘটনাস্থলে এসে দেখেছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, চুরির বিষয়টি বিকেলে জানতে পেরেছি। ছুটির দিনই প্রভোস্টকে বলেছিলাম হলের পেছনে তিনটি রুমে সিটকিনি মারা নেই। গ্রিলগুলোও দুর্বল। তাছাড়া হলটির পেছন সাইডে লোক যাওয়ার মতো কোনো পরিবেশ নেই। ওইদিকে সিসি ক্যামেরাও ঠিক নেই। বারবার প্রভোস্টকে জানানোর পরও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এবিএম জাকির হোসেন বলেন, আমি এরই মধ্যে ট্রেজারার, প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। দক্ষিণ পাশে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেই। ওদিকে সাপের ভয়ও আছে। কালকে (শনিবার) অফিস খুললে হল বডি নিয়ে বসবো। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ছেলেটার কী কী ক্ষতি হয়েছে জানতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, বিকেলে প্রভোস্ট আমাকে চুরির বিষয়টি জানিয়েছেন। ওই সময় আমি দুজন সহকারী প্রক্টর আর সিকিউরিটি অফিসারের সঙ্গে প্রভোস্টকে কথা বলতে বলেছি। এখন হলের ঘটনা যেহেতু, তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। আমরা সহযোগিতা করবো। শনিবার ক্যাম্পাসে গিয়ে প্রভোস্টের সঙ্গে আবার কথা বলবো।