দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের শুরু থেকেই দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ করে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েলের বিতর্কিত সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করে বাইডেন প্রশাসন সে দেশকে কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠানো বন্ধ করছে৷ ইসরায়েলি বাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে৷
গাজায় সামরিক অভিযানকে ঘিরে ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতপার্থক্য কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, এবার তা জানা গেছে৷ গাজার দক্ষিণে জনবহুল রাফাহ শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার বিরোধিতা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গত সপ্তাহ থেকেই অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রেখেছে৷
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন মহলে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রবল বিরোধিতার কারণে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছরে বাইডেন প্রশাসন উভয় সংকটে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ বিশেষ করে গাজায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ও দুর্দশা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষোভ বাড়ছে৷ গত বছর ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের নৃশংস হামলার পর বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি জোরালো সমর্থন জানালেও সম্প্রতি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য বেড়ে চলেছে৷
মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ শহরের কাছে গাজা ও মিশর সীমান্ত দখল করে গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে৷ সেখানে সাঁজোয়া গাড়িও মোতায়েন করা হয়েছে৷ প্রবল আন্তর্জাতিক চাপ এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে বোঝাপড়ার সম্ভাবনা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু রাফাহ শহরে স্থলবাহিনীর সামরিক অভিযান এখনো বাতিল করতে প্রস্তুত নন৷ হোয়াইট হাউসের সূত্র অনুযায়ী ইসরায়েল সেখানে ‘সীমিত' অভিযানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ তা সত্ত্বেও রাফায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটলে দুই দেশের সম্পর্কের আরো অবনতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷
মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্ভাব্য বোঝাপড়া সম্পর্কে বিভ্রান্তি কাটছে না৷ হামাস গাজায় অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়ে পড়ছে, মার্কিন প্রশাসন মঙ্গলবার তার বিরোধিতা করেছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, হামাস মোটেই সেই প্রস্তাব মেনে নেয় নি, বরং জবাবে শুধু কিছু পালটা প্রস্তাব দিয়েছে৷ আপাতত সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
সূত্র: ডেয়েচে ভেলে