লেবানন ও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এখানে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে পারবো না। আমরা যা পারি তা হলো ইসরায়েলি চিহ্নিত পণ্যগুলোকে ব্যবহার না করতে।
শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের 'হিউম্যান রাইটস সোসাইটি' আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ আহ্বান জানান তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা 'ইসরায়েলের আগ্রাসন মানবতার লঙ্ঘন', 'যুদ্ধ নয় শান্তি চাই', 'বিশ্ববাসী একসঙ্গে, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে', মুক্তি, মুক্তি, মুক্তি চাই ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই' সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দীর্ঘদিন ইসরায়েল দখলদাররা ফিলিস্তিনে আগ্রাসন চালাচ্ছে। আমরা প্রত্যেকে মানুষ, আমরা চাই না একটি প্রাণ ঝরে যাক। আমরা আজ এখানে মুক্তভাবে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করছি কিন্ত আমার ফিলিস্তিনের ভাইয়েরা তাদের মুক্তির গান গাইতে পারে না। আমরা চাই ইসরায়েলের দখদার বাহিনী ফিলিস্তিন ও লেবাননের ওপর আর আক্রমণ না চালাক। আমরা এই আগ্রাসনের অবসান চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ইসরায়েল আজ ফিলিস্তিনকে শেষ করে এখন লেবাননের দিকে হাত বাড়িয়েছে। সুন্নিদের দমনের পর তারা শিয়াদের ধরেছে। তারা মারার সময় দেখে মুসলিমদের মারছি কিন্ত আমরা আছি সুন্নি আর শিয়া নিয়ে। ইসরায়েলের এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের আরব ও মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখানে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে পারবো না। আমরা যা পারি তা হলো ইসরায়েলি চিহ্নিত পণ্যগুলোকে ব্যবহার না করা। আমরা ইসরায়েলের পণ্য না খেলে মরব না। এটা হবে আমাদের প্রতিবাদ।
'হিউম্যান রাইটস সোসাইটি'র সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, মানবতা আজ ভূলুণ্ঠিত। আমরা নির্বাক তাকিয়ে আছি। আমাদের কাছে ট্যাংক নেই, গোলাবারুদ নেই, যা আছে তা হলো প্রতিবাদের ভাষা। ফিলিস্তিন ও লেবাননের হামলার প্রতবাদের দাঁড়িয়েছি। ফিলিস্তিন ও লেবাননে মানবাধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত, কিন্ত পশ্চিমারা চুপ। আমরা চাই ফিলিস্তিনের মানুষও সুস্থ সুন্দর, নিরাপদে বাস করুক। আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।