পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মসহ পশুর হাটগুলোতে মোট ৯৪ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ৪৩ লাখ ৬১ হাজার গরু-মহিষ ও ৫০ লাখ ৮১ হাজার ছাগল, ভেড়া ও অন্যান্য পশু বিক্রি হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মোট কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) রাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিক্রি হওয়া মোট গবাদিপশুর এ সংখ্যা দিয়ে কোরবানিকৃত মোট পশুর সংখ্যা নিরুপন করা যাবে না। কারণ বিক্রিকৃত পশুর সঙ্গে গৃহপালিত যেসব গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে, সেগুলো যুক্ত করে এবছর মোট কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর সংখ্যা নির্ধারণ হবে। মোট কোরবানিকৃত পশুর সংখ্যা নিয়ে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশে মোট কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৪৯টি। ৪৩ লাখ ৬১ হাজার গরু-মহিষ ৪৭ হাজার কোটি টাকার বেশি এবং ৫০ লাখ ৮১ হাজার ছাগল-ভেড়া ও অন্যান্য পশু ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি বিক্রি হয়েছে। অধিদপ্তরের পাওয়া তথ্যে, মোট কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দেশের আট বিভাগেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অনলাইনে মোট পশু বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬টি। এরমধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৮৪ হাজার গরু বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ২১ হাজার ৯০২টি ছাগল-ভেড়া বিক্রি হয়েছে।
জানা গেছে, অনলাইন হাটে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬টি পশু বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ২৩১ কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকায়। একই প্ল্যাটফর্মে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪২০টি গরু এবং ৮৪ হাজার ৫৪টি ছাগল-ভেড়ার দামসহ ছবি আপলোড করা হয়। সেখান থেকে কোরবানিদাতারা পছন্দের পশু কিনে নিয়েছেন।
এদিকে কোরবানির পশুর হাটে গরু-ছাগলের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাটে ৫ হাজার ৭০৯টি গরু ও ১ হাজার ৩৮৯টি ছাগল-ভেড়াসহ মোট ৭ হাজার ৯৮টি পশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
দেশের আট বিভাগের অন্য হাটগুলোতে ৬০ হাজার ৩৯৩টি গরু ও ৬৯ হাজার ৭৬৯টি ছাগল-ভেড়াসহ মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ১৬২টি পশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে কোরবানির হাটে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৬০টি পশুকে।