জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃত সকলের মুক্তির দাবিতে সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে প্রতিবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসনূহের ব্যানারে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে সমাজ চিন্তা ফোরামের আহ্বায়ক কামাল হোসেন বাদলের সভাপতিত্বে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে কামাল হোসেন বাদল বলেন, আমাদের শিল্পীরা, সাংস্কৃতিক কর্মীরা তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ঠিক মতো পরিচালনা করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে শিক্ষালাভের সুযোগ পাচ্ছেন না। এসব কর্মকাণ্ডকে দাবিয়ে রাখার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামের কালো আইন তৈরি করা হয়েছে। এ সময় তিনি অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিলেরও সমালোচনা করেন।
সমাবেশে ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক ও পার্কের ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব আক্তারুজ্জামান খান বলেন, দুই বছর ধরে খাদিজা গ্রেফতার, কিন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ঈদের আগে খাদিজার মুক্তি দিতে হবে। নইলে প্রমানিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রশাসন রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করছে।
সমাবেশে প্রতিবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি তুলে দরা হয়। দাবিগুলো হলো-ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাসহ গ্রেফতারকৃত সকল বন্দির মুক্তি; ‘অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল’ আইনের নামে ধর্মঘট করার চক্রান্ত পরিহার; নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তি; ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্কের পরিবেশ ধ্বংসকারী রেস্তোরাঁ উচ্ছেদ; গ্যাস-বিদ্যুৎ- ডিজেলের সরবরাহ নিশ্চিত ও সকল জ্বালানির বির্ধিত দাম প্রত্যাহার করা; ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করা ও ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারীদের গ্রেফতার এবং লোহারপুল-বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে বিটিআরসি বাস সার্ভিস চালু করা।