ঢাকায় ঈদের তৃতীয় দিন পশু কোরবানি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, বর্জ্য অপসারণের সুবিধার্থে ঈদুল আজহায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঢাকাবাসীর কাছে বিনীত নিবেদন, ঈদের দিন ও পরের দিন যেন সব পশু কোরবানি সম্পন্ন করা হয়।
ঈদের আগে জাতীয় ঈদগাহ মাঠের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে মঙ্গলবার সকালে এ কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র। এ সময় তিনি তৃতীয় দিনে কোরবানি হলে বর্জ অপসারণের জটিলতা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই তৃতীয় দিনে অনেকে পশু জবাই দিয়ে থাকেন। এটা আমাদের জন্য দুরূহ হয়ে যায়। কারণ একটানা ৭২ ঘণ্টা চলবে। সব কার্য্ক্রমে ৭২ ঘণ্টা পরে কিন্তু বিশ্রাম দিতে হবে। সেজন্য এটা অমানবিক হয়ে যায় যে, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের দিয়ে আবার কাজ করানো। সেজন্য আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় ঈদের আগের রাত থেকেই বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে। রাত ১২টার পর থেকে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবে। পরদিন ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে তদারকি শুরু হবে।
মেয়র বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন, গত বছরও যেটা বলেছিলাম, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করব। আমরা সেটা সফলভাবে করতে পেরেছি। এবারও আমাদের সে রকম প্রস্তুতি। সাড়ে তিনশ যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে। প্রায় ১০ হাজার জনবল মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত থাকবে। বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার জন্য যারা কোরবানি দেবেন তাদের ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলন দেয়া হচ্ছে।
মেয়র তাপস বলেন, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কার্যক্রম তদারকি করা হবে। অঞ্চলভিত্তিক, ওয়ার্ডভিত্তিক ও হাটভিত্তিক তদারকি করার জন্য কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সব প্রস্তুতি নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, এবারও সফল হব।