ময়মনসিংহের তারাকান্দায় শহীদ মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সদস্য ভাতিজার বিরুদ্ধে। ঈদে বাড়িতে ছুটিতে আসা পুলিশ সদস্য ভাতিজা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে পূর্ব বিরোধের জেরে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটায়। এ সময় আরো অন্তত দু'জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের নলদিঘী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বানিহালা ইউনিয়নের নলদিঘী গ্রামের প্রয়াত আব্দুল জব্বারের ছেলে শহীদ মিয়া ও আহাম্মদ হোসেনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো বেশ কিছুদিন ধরেই। গত দুই বছর আগেও মারামারির ঘটনা ঘটে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে। পরে বিষয়টি আপস মিমাংসা হলেও বিরোধ জিইয়ে রাখে পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার দুপুরে শহীদ মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে আহমদ হোসেনের ছেলে ফরহাদ হোসেন, সারোয়ার হোসেন ও আলামিনসহ অন্যরা। ফরহাদ হোসেন পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত আছেন। ঈদের ছুটিতে শুক্রবার বাড়িতে গিয়েই চাচাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
পরে গুরুতর অবস্থায় শহীদ মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় আহত হন শহীদ মিয়ার ছেলে মুন্নাসহ আরো কয়েকজন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ফরহাদ হোসেনকে আটক করেছে। হত্যায় জড়িত অন্যরা পলাতক রয়েছে।
তারাকান্দা থানা পুলিশের ওসি মো. আবুল খায়ের দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিলো।
এর জেরে এক পক্ষ আরেক পক্ষর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া আসায় সময় কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার চাচাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।