দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: দুইজন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও কর্মচারী বদলিতে টাকার খেলার অভিযোগ উঠেছে। সর্বশেষ গত ১৭ জানুয়ারি জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে দুইজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হলেও রোববার ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আদেশটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি। অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ-লেনদেন ও অদক্ষতার অভিযোগ পুরনো।
ঢাকার সাভার ও গাজীপুরের শ্রীপুরে বদলি হওয়া দুই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার একজন ফেনী সদরে কর্মরত মো. সাইফুল ইসলাম ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকেন। যদিও কর্মস্থলে থাকা বাধ্যতামূলক। তিনি রোববার সন্ধ্যায় দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, বদলির আদেশ আমাকে ইমেইলে পাঠিয়েছে অধিদপ্তর থেকে। ওয়েবসাইটে কেন দেয়া হয়নি সে বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ তিনি। শ্রীপুরে বদলির আদেশে খুশী সাইফুল এর আগেও শ্রীপুরে চার বছর চাকরি করেছেন। তবে সেই তথ্য অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখা থেকে গোপন রাখা হয়েছে মর্মেও অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে ঢাকার সাভারে বদলি হওয়া মো. মর্তুজা আহসানের মতামত জানা যায়নি।
যে কোনো আদেশ/প্রজ্ঞাপন ওয়েবসাইটে দেয়ার বিষয়টি মনিটরিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারি পরিচালক রূপক রায় রোববার সন্ধ্যায় দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, দুই কর্মকর্তার বদলির আদেশ কেন ওয়েবসাইটে দেয়া হলো না তা তিনি খোঁজ নেবেন। অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধেও রয়েছে নিয়োগসহ নানা অভিযোগ। তার মতামত জানার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
একাধিক সূত্রমতে, দুই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বদলিতে মন্ত্রণালয়ের একজন প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তার পিএস’র অর্থযোগে ভূমিকা রয়েছে। বদলি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টাকার খেলার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, সাধারণ শিক্ষক, দর্শনার্থী ও সাংবাদিকদের তথ্যবঞ্চিত রাখার অভিযোগ পাওয়া যায় প্রশাসন শাখার তিন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে চাঁদপুরের এক সরকারি কলেজ থেকে হঠাৎ অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখায় বদলি হওয়া এক কর্মকর্তা তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে অজ্ঞ বলে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন শিক্ষক মহলে।