আন্দোলনের মুখে বাতিল হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার ফল তৈরিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমে পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শিক্ষা বোর্ডে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ডে পাঠাতে কলেজের অধ্যক্ষদের বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষাবোর্ডগুলো এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তির কপি দৈনিক শিক্ষাডটকমের হাতে এসেছে।
তাতে বলা হয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর অংশগ্রহণকারী সব পরীক্ষার্থীদের জন্য উল্লিখিত তথ্য পাঠানোর জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-অধ্যক্ষদের বলা হলো।
এর মধ্যে প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পাসের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফটোকপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-অধ্যক্ষের কাছ থেকে সত্যায়ন করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে জমা দিতে হবে।
যে সব পরীক্ষার্থী টেকনিক্যাল বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় পাস করে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তাদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফটোকপি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-অধ্যক্ষের কাছ থেকে সত্যায়ন করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে জমা দিতে হবে।
সব পরীক্ষার্থীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের ব্যবহারিকের প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। ইতোমধ্যে এ বোর্ডের ওয়েবসাইট খুলে দেয়া হয়েছে।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাতিল হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলোর ফলাফল ৪০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করে প্রকাশের প্রাথমিক রূপরেখা ঠিক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বুধবার শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তাদের প্রথম বৈঠকে এ নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাসার বলেন, পরীক্ষার্থীরা যেনো সর্বোচ্চ সুবিধা পায় সেভাবেই ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর নম্বর এবং যেগুলো হয়নি সেগুলোর সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রস্তুত করা হবে।
অধ্যাপক আবুল বাসার আরো বলেন, এসএসসিতে খারাপ থাকলে জেএসসির ফল বিবেচনা করা হবে। জেএসসিতে খারাপ হলে যে সাত বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে সেগুলোতে কেমন ফল করেছে, সেটিকে গুরুত্ব দেয়া হবে। সর্বোপরি যেখানেই শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ বেনিফিট দেয়া যায়, সেটিই দেয়া হবে।
এর আগে, ২০ আগস্ট দুপুরে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন হাজার হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা না দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এরই মধ্যে যে কটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। কারণ হিসেবে আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী আহত হওয়া এবং পড়াশোনায়ও ক্ষতি হওয়ার কথা উল্লেখ করেন তারা।
পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় সচিবের কক্ষের বাইরে পরীক্ষা না দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত অনেক পরীক্ষার্থী।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন থেকে। এরপর পহেলা জুলাই থেকে চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলেও এর মধ্যেই ঢাকা বোর্ডের সাতটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বোর্ডের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা শেষ হয়।
কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয় এবং কয়েক ধাপে পরীক্ষা পেছানো হয়।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।