কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজে গত ১৫ দিনে তিনবার গভর্নিংবডি পরিবর্তন করা হয়েছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আগের কমিটি পরিবর্তন করে দৌলতপুর কলেজে অ্যাডহক কমিটি গঠনের চিঠি দেয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কাণ্ডে বিব্রত শিক্ষক-অভিভাবকেরা। তবে এ ঘটনা নতুন নয় এর আগেও শেরপুর-বগুড়ার কয়েকটি কলেজের কমিটি অনুমোদন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গড়িমসির খবর পাওয়া গেছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ গভর্নিংবডি (সংশোধন) সংবিধি ২০১৯ এর ৭ নম্বর ধারার ক্ষমতাবলে এই কলেজ অর্থাৎ দৌলতপুর কলেজের অ্যাডহক কমিটির বর্তমান সভাপতি মো. আজিজুল হকের মনোনয়ন পরিবর্তন করে সভাপতি হিসেবে মোহা. আলতাফ হোসেন এবং বিদ্যোৎসাহী মো. ফজলুর রহমানের মনোনয়ন পরিবর্তন করে বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোহা. আলাউদ্দিনকে মনোনয়ন দেয়া হলো।
চিঠিতে আরো বলা হয়, এই অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ আগামী ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ মার্চ পর্যন্ত থাকবে। এ সময়ের মধ্যে নিয়মিত গভর্নিং কমিটি গঠনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মো. আমানুল হককে একইভাবে পরিবর্তন করে সভাপতি করা হয় তারই ছোট ভাই মো. আজিজুল হককে এবং বিদ্যোৎসাহী করা হয় মো. ফজলুর রহমানকে। গত ১৫ দিনে ৩ বার দৌলতপুর কলেজের অ্যাডহক কমিটি গঠন ও পরিবর্তনে কলেজের শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এর আগে দেশের একমাত্র শিক্ষাবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম ও প্রিন্ট জাতীয় দৈনিক আমাদের বার্তায় ‘কলেজ কমিটি, ভিসির অনুমোদনে ভোগান্তি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তাতে বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগের কমিটি বাতিল করে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠন করতে বলেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিধান অনুযায়ী ভিসি বরাবর এ কমিটি গঠনে সভাপতিসহ তিনজনের নাম প্রস্তাব করতে হবে। ভিসির অনুমোদনের পরে কমিটি চূড়ান্ত হবে।
তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর কাছে এই অনুমোদন নিতে গিয়েই বাধছে বিপত্তি। সকালে একটা কমিটি অনুমোদন করে বিকেলে আবার সেটা বাতিল করারও অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার পেতে প্রায় ২৫টি কলেজ হাইকোর্টে গেছে। শেরপুর ও বগুড়ার কয়েকটি কলেজের অধ্যক্ষ অ্যাডহক কমিটি গঠনের জন্য নাম প্রস্তাবের পর মাস খানেক গত হলেও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত অনুমোদন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের বেতন-ভাতা ও এমপিওভুক্তিসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ থমকে আছে।
তবে এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নড়েচরে বসে। দ্রুত কয়েকটি কলেজের কমিটি অনুমোদন দিয়ে দেয়।