শনিবারের কর্মসূচি শেষ করে নতুন দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এবার তারা এক দফা দাবি জানিয়েছে। এতে সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা এই ঘোষণা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণায় বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
এতে বলা হয়, ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠন করা হবে যেখানে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পাশাপাশি আগামীকাল রোববার সব জেলা, উপজেলা, পাড়ায়, মহল্লায় বিক্ষোভ ও গণঅবস্থান কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।
সব খুনের বিচার এবং সব রাজবন্দীকে মুক্ত করা হবে বলেও ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া সব ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা বলছেন, সর্বস্তরের নাগরিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে শীঘ্রই ক্ষমতা হস্তান্তরের জাতীয় রুপরেখা হাজির করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের নাগরিকদের নিয়ে জাতীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠনের ঘোষণা দেন সমন্বয়েকেরা।