গত এক যুগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০০৯-২০২২ মেয়াদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে ৫ হাজার ২০৫ জন প্রধান শিক্ষক ও দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৪ জন সহকারী শিক্ষকসহ দুই লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯জন শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ সময়ে ২৬ হাজার ৩৫৩টি বেসরকারি ও রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিটিতে একজন প্রধান শিক্ষক ও ৪জন করে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সর্বমোট এক লাখ ৩১ হাজার ৭৬৫টি পদ সরকারিকরণ করা হয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, রাজধানী ঢাকা শহরের ওপর চাপ কমাতে পরিকল্পিত জলকেন্দ্রীক স্মার্ট নগরী গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় রাজউক ঢাকা জেলার আশুলিয়া, সাভারের আওতাধীন তুরাগ নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যা প্রবাহ এলাকা, জলাশয় সংরক্ষণ ও কমপ্যাক্ট টাউনশিপ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে উন্নয়ন এলাকা (আবাসিক, বাণিজ্যিক, নাগরিক পরিষেকবা) ৩২ শতাংশ এবং সংরক্ষিত এলাকা (জলাশয়, সবুজায়ন, বিনোদন ব্যবস্থা ও খাল-নদীর বাঁধ নির্মাণ) হিসেবে ৬৮ শতাংশ ভূমি ব্যবহারের প্রস্তাবনা রাখা হয়েছে। প্রকল্পটির ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রাজধানীর জলজট ও যানজট কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ওই প্রকল্পে প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও প্রতিমন্ত্রী জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ঢাকা শহরের ওপর চাপ কমাতে স্যাটেলাইট টাউনশিপ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ঢাকা জেলার ধামরাই, কেরাণীগঞ্জ, মানিকগঞ্জের সিংগাইর এবং মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান সাইট পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই এলাকায় প্রায় ৭ হাজার একর জমি আবাসন প্রকল্প গ্রহণের জন্য উপযুক্ত। সম্ভাবতা সমীক্ষায় উপযোগী মনে হলে সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। ওই স্যাটেলাইট সিটিতে সুপারিকল্পিত মাস্টারপ্লান অনুযায়ী প্লটের সংস্থান রেখে প্লট বরাদ্দ দেয়া যাবে।