ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের ২৬ নম্বর চরমানিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র একজন সহকারী শিক্ষক দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। ওই স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও দুইজন সহকারী শিক্ষকসহ মোট তিনজন শিক্ষক কাগজে-কলমে থাকলেও নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকছেন একজন।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ে ২৫৩ জন শিক্ষার্থী আছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে আছেন হাসনাইন আহমেদ মুরাদ, সহকারী মো. রিয়াজ উদ্দিন এবং আবদুল খালেক সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। মঙ্গলবার সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে সহকারী শিক্ষক আবদুল খালেককে পাওয়া গেলেও অপর দুইজনকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক আবদুল খালেক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাসনাইন আহমেদ মুরাদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ এজন্য স্কুলে আসেন না। সহকারী শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ভোলায় পিটিআই প্রশিক্ষণে আছেন।
স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. মাকসুদ আকন্দসহ একাধিক স্থানীয় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন স্কুলে না এসে নিয়মিত বেতন নেন। স্কুলে ছেলেমেয়েদের ঠিকমতো লেখাপড়া হয় না। এজন্য তারা স্কুলেও আসতে চায় না।
স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এখন অসুস্থ কিন্তু তিনি সুস্থ থাকলেও নিয়মিত স্কুলে আসতেন না। পাশাপাশি নতুন কোনো প্রধান শিক্ষক আসার খবর পেলে তদবির করে তাকে তাড়িয়ে দেন।
এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. হাসনাইন আহমেদ মুরাদের বক্তব্য নিতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।