সচরাচর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কতজন যমজ ভাই-বোনকে পড়াশোনা করতে পারে। সারা বিশ্বের কথা চিন্তা করলে এই সংখ্যা খুব বেশি নয়। কিন্তু কোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক শ্রেণিতে যদি ২৩ জোড়া যমজ পড়াশোনা করে, তাহলে সেটা অবাক হওয়ার মতো ঘটনা বটে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমনটি দেখা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির অষ্টম শ্রেণির মোট শিক্ষার্থীর ১০ শতাংশই যমজ।
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নিধাম এলাকার পোলার্ড মিডল স্কুলে গত বুধবার অষ্টম শ্রেণির গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে দেখা যায় এসব যমজকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ টামাথা বিবো বলেন, ২৩ জোড়া বা ৪৬ যমজের পাশাপাশি আরেক যমজের একজন আছে এই বিদ্যালয়ে। ওই ছাত্রীর যমজ ভাই পড়ে অন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
বিবো বলেন, ‘বিষয়টি সত্যি অস্বাভাবিক। আমরা অন্য যেকোনো বিদ্যালয় বা আমাদের এখানে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ জোড়া যমজ শিক্ষার্থী পেয়েছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানের যেকোনো শ্রেণিতে ৪৫০ থেকে ৫০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে থাকে। এবার অষ্টম শ্রেণি থেকে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ৪৫০ জন শিক্ষার্থী।’
বিবো বলেন, গত বুধবার অনুষ্ঠানের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে ওই ২৩ জোড়া শিক্ষার্থীকে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান কেন্দ্রের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া শিশুদের প্রায় ৩ শতাংশ যমজ।
বিবো বলেন, পোলার্ড মিডল স্কুলের শিক্ষার্থীদের ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত তাদের কমিউনিটিতে সেবা-সংক্রান্ত শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি কাজ করতে হয়। প্রতিবছর নিধাম এক্সচেঞ্জ ক্লাব কমিউনিটি সেবার জন্য পাঁচটি পুরস্কার দিয়ে থাকে। এবারই প্রথমবারের মতো এক যমজ লুকাস ও সমির প্যাটেল তাদের সেবার জন্য এই পুরস্কার জিতেছে।
গ্র্যাজুয়েশনে অংশ নেওয়া কয়েক যমজ বলেছে, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এত যমজ আছে জানতে পেরে তারাও বিস্মিত।
ব্র্যাডেন মাহোনি ও তার যমজ বোন লরেন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অষ্টম শ্রেণির গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে। মাহোনি বলেছে, ‘এখানে কিছু যমজ আছে, যাদের সম্পর্কে আমি জানতাম না। আবার অনেকে জানে না, আমরাও যমজ।’