দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: সফটওয়্যার থেকে লিঙ্গ জটিলতার পরে এবার দেখা দিয়েছে পেমেন্ট নিয়ে নতুন বিপত্তি। একজন ভর্তিচ্ছুকে আবেদন সফল করতে হলে অবশ্যই আগে পেমেন্ট করতে হবে। সেক্ষেত্রে ভর্তিচ্ছুদের পেমেন্ট সফল দেখানোর পরেও আবেদন করা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আবেদনের সফটওয়্যারে এমন ত্রুটির কথাই জানিয়েছেন অসংখ্য ভর্তিচ্ছু।
এ ব্যাপারে সফটওয়্যার কর্তৃপক্ষও অপেক্ষা করতে একটি বার্তা দিয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘পেমেন্ট গেটওয়ে পেমেন্ট সফল দেখানো সত্ত্বেও যদি আবেদনের পোর্টালে আবেদন করা সম্ভব না হয় তাহলে দয়া করে অপেক্ষা করুন।’
গেটয়েতে কারিগরি সমস্যার কারণে পেমেন্ট-এর তথ্য আবেদনের পোর্টালে আসতে দেরি হচ্ছে। আবেদনের পোর্টালে আবেদনকারীর লিঙ্গ ভুল দেখানো সংক্রান্ত একটি ত্রুটি ২৮ মে সকালে সমাধান করা হয়েছে, দয়া করে আবার দেখে নিন।
এর আগে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিলো গত রোববার সকালে। কিন্তু ভর্তিচ্ছুরা অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই আবেদন সম্পন্ন করতে পারছিলেন না। তাদের প্রক্রিয়া আটকে যাচ্ছিলো লিঙ্গ সংক্রান্ত মেন্যুতে।
আরো পড়ুন: জটিলতা কাটাতে লিঙ্গই বাদ, আবেদনের সময় বাড়বে দুদিন
এ কাজের ঠিকাদার বুয়েটের সিএসই বিভাগ তখন জানিয়েছিলো, সফটওয়্যারের জটিলতা কাটানোর চেষ্টা চলছে। সন্ধ্যা ছয়টার পর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু রোববার সন্ধ্যা নয়, প্রায় দেড় দিন পর গতকাল সোমবার বিকেলে লিঙ্গ সংক্রান্ত মেন্যুটিই বাদ দিয়ে সার্ভার সচল করা সম্ভব হয়। তবে, প্রোফাইল খোলার পর লিঙ্গ পরিচয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে।
তারপরও অনেকেই দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছেন, ভর্তির আবেদনের জন্য সার্ভারে ঢুকতে পারেননি তারা। আবার অনেকেই, আবেদন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
আগামী ১১ জুন অবধি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা কেবল অনলাইনে (www.xiclassadmission.gov.bd) ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। তিন ধাপে আবেদন নেয়া হবে৷
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কলেজগুলোতে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৭৫০০, ইংরেজি মাধ্যমে ৮৫০০। ঢাকা বাদে অন্য মেট্রপলিটন এরিয়াতে ৫ হাজার, জেলা শহরে ৩ হাজার এবং উপজেলায় আড়াই হাজার টাকা। এটা সর্বোচ্চ ভর্তি ফি।
এবার কলেজগুলোতে ২৫ লাখ আসন থাকলেও পাস করেছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার জন। সে হিসেবে ৮ লাখের বেশি আসন খালি থাকবে। তবে ভালো কলেজগুলোতে ভর্তির প্রতিযোগিতা হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। এক লাখ ৮২ হাজার ১৩২ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ।
দেশে মানসম্পন্ন ও ভালো কলেজ হিসেবে বিবেচিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দু’শতাধিক। এসব কলেজে আসন আছে এক লাখের কাছাকাছি। এগুলোতেই শিক্ষার্থীদের ভর্তির আগ্রহ বেশি থাকবে। তবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ থাকবে রাজধানীর দিকে। ঢাকায় মানসম্পন্ন কলেজের সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০টি। এগুলোতে প্রতি বছর ভর্তিতে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়। এবারো হবে।