ছাত্রলীগ নেতাদের থানায় আটকে মারধরের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এখনও ঢাকায় আছেন। তিনি রংপুরে যোগদান করেননি। বর্তমানে বাসায় থাকছেন। তবে অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন ডিএমপি সদর দপ্তরে নিয়মিত অফিস করছেন। এদিকে রাষ্ট্রপতির এপিএসের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ফিন্যান্স) এস এম রশিদুল হক গতকাল শুক্রবার রাতে, হারুন অর রশিদ এখনো রংপুর রেঞ্জে যোগ দেননি। শুক্রবার হয়তো, তাই তিনি আসেননি। অফিস ডেতে তিনি আসবেন হয়তো।
৯ সেপ্টেম্বর রাতে ছাত্রলীগ নেতাদের শাহবাগ থানায় আটকে মারধরের ঘটনায় ডিএমপির রমনা জোনের তৎকালীন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে ১০ সেপ্টেম্বর দুবার বদলি করা হয়। প্রথমে তাঁকে রমনা বিভাগ থেকে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) উত্তর বিভাগে বদলি করা হয়। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, হারুন অর রশিদকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার করা হয়েছে। এর এক দিন পর তাঁকে রংপুর রেঞ্জে বদলি করা হয়। তবে রংপুরে বদলির চার দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি সেখানে যোগদান করেননি।
গতকাল সন্ধ্যায় হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমি ঢাকাতেই আছি। তবে তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না। তদন্তের পর সবকিছু বের হয়ে আসবে।’ এদিকে এ ঘটনায় আলোচিত এডিসি সানজিদা আফরিন নিয়মিত অফিস করছেন। তিনি বর্তমানে ডিএমপির সদর দপ্তরের ক্রাইম বিভাগে কর্মরত।
এপিএস আজিজুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে এ ঘটনায় জড়িত রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এক অনুষ্ঠানে বলেন, আইন সবার জন্য সমান। আইন অমান্যকারী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ যে-ই হোক না কেন, তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা যাঁরা ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো দুর্বলতা নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মামলা না হলেও মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, সব ঘটনারই তদন্ত করা হবে।