এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে তদন্তে - দৈনিকশিক্ষা

এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে তদন্তে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

রাজধানীর শাহবাগ থানায় বরখাস্ত অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। আগামী মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে জমা দেয়া হবে। 

তদন্ত প্রতিবেদনে এডিসি হারুন ও এডিসি সানজিদা আফরিনসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব সরকার। 

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে।

ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, ওইদিন রাতে এডিসি হারুন আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি সানজিদা আফরিনের সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান। সেখানে তাদের নির্যাতন করা হয়।

এ ঘটনার পর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। আর শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশনস) গোলাম মোস্তফাকে বদলি করা হয়েছে ডিএমপির সংরক্ষণ দফতরে। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়।

সাত কার্যদিবসের তদন্ত শেষে আগামী মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেবে কমিটি। এই সময় ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল, শাহবাগ থানাসহ বেশ কিছু জায়গার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। বক্তব্য নেয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুন, এডিসি হারুন ও সানজিদার। নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগ নেতারাও সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘একেবারে স্বাধীন নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাকে উন্মোচন করা এবং দায়ী ব্যক্তি সনাক্ত করা এবং কে কতটুকু দায়ী সেটাও সনাক্ত হবে।’ 

আলামত পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি বলছে, স্ত্রী সানজিদা গিয়েছে জেনে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে হাসপাতালে যান মামুন। সেখানে গিয়ে দেখা হয় এডিসি হারুনের সঙ্গে। পরে হাতাহাতিতে জড়ায় দু-পক্ষ। এক পর্যায়ে হারুন ও সানজিদা ঢুকে পড়ে হাসপাতালের ইটিটি রুমে। পরে শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করে হারুন ও তার সহযোগীরা। 

বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত কার্যক্রম সনাক্ত করে। আমাদের যে প্রাপ্ত প্রতিবেদন সেটা তারা আমাদের কমিশনার বরাবর দাখিল করবেন। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশনার যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সেটা তিনি গ্রহণ করবেন। অথবা আমাদের আইজিপি যিনি আমাদের পুলিশ বাহিনীর অভিভাবক তার কাছে প্রেরণ করবেন।’

থানায় নির্যাতনের ঘটনায় কঠোর শাস্তি দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন অপরাধ বিশ্লেষকেরা। 

অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনাগুলো যদি বিভাগীয় পর্যায়ে বলুন বা আইনের মধ্য দিয়ে যদি সুরাহা না হয় তাহলে আমরা আজ একজন হারুনকে দেখছি এটি দৃষ্টান্ত বা উদাহরণ হয়ে থাকবে। পরবর্তীতে যাদের পুলিশ অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হবে তারা মনে করবেন যে এ ধরনের অপরাধ করে একটা সময় কিছু বিভাগীয় ব্যবস্থা নিলেও একটা সময় পার পাওয়া যায়।’

মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমার পর হারুনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে হতে পারে বিভাগীয় মামলাও। 

সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত - dainik shiksha প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি - dainik shiksha আন্দোলন স্থগিত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের, ৭ দিনের মধ্যে কমিটি পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির - dainik shiksha আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ ইউজিসির কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি - dainik shiksha পদত্যাগ করেছেন সেই তিন বিতর্কিত বিচারপতি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান - dainik shiksha ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিচার হওয়া উচিত: সলিমুল্লাহ খান বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল - dainik shiksha বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.011649131774902