মানুষের প্রচলিত ও বিরল রোগ নির্ণয়, নতুন ওষুধ, ভ্যাক্সিন ও থেরাপিউটিক উদ্ভাবন ও উন্নয়নকাজে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে অত্যাধুনিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠিত হলো। এর মাধ্যমে মানুষ, উদ্ভিদসহ প্রাণীর জীবনরহস্য উদঘাটনে দেশের গবেষণাকাজ আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে আশাবাদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সাভারের গণকবাড়ি এলাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) অত্যাধুনিক এ গবেষণাগারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
এর আগে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।
এরপর মন্ত্রী ফিতা কেটে আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক ‘সেন্টার ফর নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড এনালাইটিকস’ নামে গবেষণাগারের উদ্বোধন করেন। পরে গবেষণাগারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পরিদর্শন করেন তিনি।
প্রকল্প পরিচালক ও এনআইবির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কেশব চন্দ্র দাস বলেন, ‘সেন্টার ফর নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড এনালাইটিকস’ থেকে ছোট-বড় সব ধরনের জিনোম সিকোয়েন্স সেবাসহ অত্যাধুনিক রোগ নির্ণয় সেবা পাওয়া যাবে। এতে করে আমাদের দেশীয় গবেষণার মান যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি করে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে সক্ষম হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্র্রী বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে জিনোম গবেষণার বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী সর্বাধুনিক গবেষণাগার তৈরির পাশাপাশি গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে আজ অত্যাধুনিক এ গবেষণাগার চালু হলো। এর মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা বাস্তবায়নে তরুণ এবং দক্ষ বিজ্ঞানীরা সচেষ্ট ভূমিকা রাখবে।
এনআইবি সূত্রে জানা যায়, তিনবছর মেয়াদি একটি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এ গবেষণাগারের কার্যক্রম শুরু হলো আজ থেকে। যেখানে একটি দেশীয় গাভি, হাঁস ও ভেড়ার জীবনরহস্য উদঘাটনে গবেষণা করবেন এনআইবির বিজ্ঞানীরা।