আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদযাপনে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের (এসআইপিজি) সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস) এবং এনএসইউর অফিস অব এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স যৌথভাবে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদযাপনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ বছর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য ‘শান্তির জন্য পদক্ষেপ : বৈশ্বিক লক্ষ্যের জন্য আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা’। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৃহস্পতিবার এনএসইউর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শান্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন।
এনএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এনএসইউর মূল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেশনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সহস্রাধিক দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
সবাইকে স্বাগত জানিয়ে এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জাভেদ মুনীর আহমেদ বলেন, সংঘাতপূর্ণ বিশ্বে শান্তি এখন সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।
সিপিএসের সমন্বয়ক ড. আবদুল ওয়াহাব গবেষণা, সংলাপ এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং কূটনীতি প্রসারে সিপিএসের ভূমিকা তুলে ধরে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় নিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট এবং আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বৈশ্বিক শান্তি প্রচেষ্টায় তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে মি. হাস সামরিক পদক্ষেপের চেয়ে কূটনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের ইঙ্গিত দেন এবং বাংলাদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও তিনি পারস্পারিক বিশ্বাস এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করার জন্য দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপের ওপর ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন।
সেশন চেয়ার প্রফেসর আতিকুল ইসলাম বলেন, স্থিতিশীল দেশগুলোও উল্লেখযোগ্য বৈষম্য ও রাজনৈতিক বিভাজনের সম্মুখীন হয়। এই কারণে বিশ্বে জরুরি ভিত্তিতে শান্তি প্রয়োজন।
পরে শান্তি র্যালি, কবুতর উড়ানো ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে দিবসটির পরিসমাপ্তি ঘটে।