এবার কোমরে পিস্তলসহ ফেসবুকে ছবি দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন কলেজছাত্র ফারদিন মাশরাফি। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফারদিন ছবিটি ফেসবুক পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আপনাদের কারণে বাইরে আসতেই হলো, হতাশ।’ ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কোমরে পিস্তল গুঁজে ছাত্রলীগ নেতার ফেসবুকে ছবি পোস্টের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই একই উপজেলায় এ ঘটনা ঘটল।
ফারদিন উপজেলার কাদিরদী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তিনি সাতৈর ইউনিয়নের কামারহাটি গ্রামের বাসিন্দা। তবে তার দাবি, এটি খেলনা পিস্তল ছিল। গত ১৬ মার্চ কলেজ থেকে পিকনিকে গিয়ে ছবিটি তোলেন। তবে এভাবে ছবি ছাড়া ভুল হয়েছে। ক্ষমা করে দেন। লোকজন বলার পর ছবিটি সরিয়ে ফেলেন তিনি।
কাদিরদি ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. শফিউল্লাহ সাফি বলেন, একজন কলেজছাত্রের এ ধরনের ছবি পোস্ট করা অপরাধ। এটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। অন্যায়কারীর স্থান কলেজে নেই। বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।
সাতৈর ইউপি চেয়ারম্যান ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. রাফিউল আলম মিন্টু বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। এটা করলে সে ঠিক করেনি। সবকিছু নিয়ে ফাজলামো করা উচিত নয়।
কলেজের প্রিন্সিপাল মো. নুরুজ্জামান মোল্লা বলেন, কলেজের পিকনিকে একটি গাড়ি গিয়েছিল। সেখানে অধিকাংশই ছাত্র ছিল। শিক্ষকরা সার্বক্ষণিক ছাত্রদের সাথে ছিল। পিকনিকে এ ছবি তুলতে পারেনি। নিশ্চয় অন্য কোথাও ছবিটি তুলেছে। তারপরও খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, বিষয়টি জানার পর ফারদিনের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু সে সাতৈর থাকে না। মধুখালিতে থাকে। মধুখালি থানা পুলিশকে পদক্ষেপ নিতে বলা হবে বলে জানান তিনি।