বগুড়ার নন্দীগ্রামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী এক মাদরাসা ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন একই মাদরাসার শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের গছাইল গ্রামে। এর আগেও ওই শিক্ষক এক ছাত্রীকে বিয়ে করেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ফের ওই ছাত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে করলেন তিনি। দুইবার দুই ছাত্রীকে বিয়ে করায় শিক্ষক মাহবুবুর রহমানকে নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাহবুবুর রহমান (৪৩) একই মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নাছিমা খাতুনকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেন। শিক্ষক মাহবুবুর রহমান গছাইল গ্রামের মৃত আবু জাফরের ছেলে। তিনি গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাদরাসা ছুটি হওয়ার পর মাহবুবুর রহমান ওই ছাত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সন্ধ্যায় বিয়ে করেন।
এ ঘটনায় মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এলাকাবাসীদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন।
স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষক মাহবুবুর রহমান প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। প্রথম স্ত্রীও তার ছাত্রী ছিলেন। ওই পক্ষের দুই ছেলে সন্তান রয়েছে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছাত্রীকে বিয়ে করার বিষয়টি স্বীকার করেন।
গছাইল হাফেজিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার বাকী বিল্লাহ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাদরাসায় বার্ষিক দোয়া মাহফিল ছিলো। সেদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান মাদরাসায় ছিলেন। পরে জানতে পারি তিনি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। তিনি ছাত্রীকে বিয়ে করে ঠিক করেনি। এ বিয়ে বাল্যবিয়ে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রায়হানুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আপনার কাছ থেকে বিষয়টি শুনলাম। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।