নেত্রকোনার মদন উপজেলার হাসান আলী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক (সহ-সুপার) কাজি মাওলানা মো. এনামূল হক আকন্দের বিরুদ্ধে এমপিও নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি শিক্ষক হয়েও তিনি পাশের আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের মুসলিম নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার (কাজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একইসঙ্গে তিনি ওই উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত কাজির দায়িত্বও পালন করছেন। শিক্ষক হিসেবে সরকারি বেতন ভোগ করার পাশাপাশি কাজির দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেও তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
অথচ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০১৮-তে বলা আছে, ‘বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শিক্ষক-কর্মচারীরা একইসঙ্গে একাধিক পদে চাকরিরত বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না।’
কাজি মাওলানা এনামূল হক আকন্দ বলেন, মাদ্রাসার সুপারকে ম্যানেজ করে এলাকায় এসে বিবাহ নিবন্ধন করি। মাদ্রাসায় উপস্থিতির ক্ষেত্রে ফাঁকি দিই না।
সরকারি বেতনভোগী শিক্ষকের কাজির দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জানতে চাইলে নেত্রকোনা জেলা রেজিস্ট্রার আবদুল খালেক বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আমি এখানে নতুন দায়িত্বে এসেছি। কাজি সাহেবের নাম এবং কোন উপজেলা ও ইউনিয়নের, তা আমাকে মেসেজ করে পাঠান। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’