প্রথম গোলের মুখ খুলতে সময় লেগেছিল ২৯ মিনিট। তার পর থেকে বাঁধভাঙা আক্রমণ এবং একের পর এক গোল। কুপে দ্য ফ্রান্সের (ফরাসি কাপ) ম্যাচে পায়েস দ্য ক্যাসলকে ৭-০ গোলে হারাল প্যারিস সঁ জরমঁ। একাই ৫ গোল দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। লিয়োনেল মেসিকে বাদ দিয়েও ভয়ঙ্কর পিএসজি। বিশ্বকাপে সোনার বুট জয়ী এমবাপ্পে একাই ভয় ধরিয়ে দিচ্ছেন বিপক্ষকে।
কুপে দ্য ফ্রান্স প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ ছিল সোমবার রাতে। সেই ম্যাচে বিপক্ষকে নিয়ে ছেলে খেলা করলেন এমবাপ্পে, নেমাররা। পিএসজি দলে ছিলেন না মেসি। কিন্তু তাঁকে বাদ দিয়েও পিএসজি যথেষ্ট শক্তিশালী। ২৯ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করেন এমবাপ্পে। এর পর নেমারকে দিয়ে গোল করান তিনি। ৩৩ মিনিটে ২-০ এগিয়ে যান তাঁরা। পরের মিনিটেই গোল করেন এমবাপ্পে। প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। এর মধ্যে তিনটি গোলই করেন এমবাপ্পে। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিনটি গোল করে পিএসজি। এর মধ্যে এমবাপ্পের দু’টি এবং কার্লোস সোলের একটি। দু’টি গোলের ক্ষেত্রে অবদান রাখেন ব্রাজিলের তারকা নেমার।
পিএসজির হয়ে প্রথম কোনও ফুটবলার এক ম্যাচে ৫ গোল করলেন। এমবাপ্পের দাপটে মেসির অভাব বুঝতেই পারল না ফরাসি ক্লাব। পুরো সময় মাঠে ছিলেন এমবাপ্পে এবং নেমার। তাঁদের দাপটে এই প্রতিযোগিতার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল পিএসজি। তাদের পরের ম্যাচ ৮ ফেব্রুয়ারি। মার্সেইলির বিরুদ্ধে খেলবে তারা।
কিন্তু মেসিকে বাদ দিয়ে কেন দল গড়ল পিএসজি? কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে মেসি এবং এমবাপ্পের সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা চলছে। এমবাপ্পের ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর আর্জেন্টিনার উৎসব পালনের ধরন ভাল ভাবে নেয়নি ফ্রান্স ফুটবল সংস্থা। মেসির বাদ যাওয়ার পিছনে যদিও তেমন কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছিলেন পিএসজির কোচ ক্রিস্টোফ গালটিয়ে। তিনি বলেছিলেন, “ধারেভারে পায়েস দ্য ক্যাসল অনেকটাই দুর্বল দল। তাই মেসিকে দলে রাখা হয়নি। গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমাকেও বিশ্রাম দেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে তাঁদের সব ম্যাচে খেলানো হবে।”