এলজিইডির নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি - দৈনিকশিক্ষা

এলজিইডির নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

অস্বচ্ছতা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে শুক্রবার (৯ জুন) অনুষ্ঠিত এলজিইডির নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করেছেন পরীক্ষার্থীরা।

এ দিন সকাল ১০টার দিকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি অংশ মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন করেন। পুলিশ সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দিলে কলেজের বিপরীত দিকে জড়ো হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে পরীক্ষার্থীরা রাইনখোলা এলাকার দিকে যান। মানববন্ধন শেষ করে মিরপুর ১ নম্বর সনি সিনেমা হলের দিকে যান তারা। 

আসমা নামের এক পরীক্ষার্থী জানান, পরীক্ষা বাতিল চাই, কারণ পরীক্ষার্থীদের কাছে ডিভাইস পাওয়ার পরও কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এস এম আব্দুর রব সেই ডিভাইস ফেরত দিয়ে দেন। আমরা কথা বলতে গেলে আমাদের ধমক দিয়ে বসে চুপচাপ পরীক্ষা দিতে বলেন। এমন প্রহসনের পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করে পরীক্ষা দিয়েছে। সবখানেই ছিল আসন অব্যবস্থাপনা।

আরেক পরীক্ষার্থী তারেক মোল্লা জানান, ঢাকা কমার্স কলেজে পরীক্ষার্থীদের অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার জন্য কতিপয় শিক্ষক দায়ী।

পরীক্ষার্থী শেখ আব্দুল বাতেন জানান, অনেক পরীক্ষার্থী মোবাইল বের করে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের দাবি, বিতর্কিত কেন্দ্রে পরীক্ষা বাদ দিতে হবে। কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা জরুরি ছিল।

উল্লেখ্য, শুক্রবার এলজিইডির কমিউনিটি অগার্নাইজার পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ হাজার পরীক্ষার্থী এই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী এলজিইডি কমিউনিটি অর্গানাইজেশন পদে নিয়োগ পরীক্ষা ছিল এক নম্বর ভবনের ৫০৩ নম্বর রুমে। ওই রুমে এক পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে হলে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। হলের দ্বায়িত্বরত শিক্ষক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে বেআইনিভাবে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেন। প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কার দাবিসহ এই কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিলে আন্দোলন করেন।

আন্দোলন বন্ধ করার জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর কলেজ সাধারণ প্রশাসনের  লাঠি চার্জ করার অভিযোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে পুলিশের সংশ্লিষ্ট ডিসির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। এছাড়া এলজিআরডি কর্তৃপক্ষের কাছে বিচারের নিশ্চয়তা চেয়েছেন তারা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক এস এম আব্দুর রব বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।’

কলেজের অধ্যক্ষ আবু মাসুদের মোবাইল ফোনে একাধিকার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

কলেজের উপাধ্যক্ষ ওয়ালি উল্লাহ বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি, কলেজে আসেন, কলেজে এসে কথা বলেন।’

‘বারাসাত ব্যারিকেড’ ঘোষণা তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ‘বারাসাত ব্যারিকেড’ ঘোষণা তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের রাতারাতি সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব না - dainik shiksha রাতারাতি সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা সম্ভব না মনোনীত হয়েও বৃত্তি থেকে বঞ্চিত রাবির ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী - dainik shiksha মনোনীত হয়েও বৃত্তি থেকে বঞ্চিত রাবির ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha পাঠ্যবই নির্ভুল করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার বেরোবির সাবেক প্রক্টর - dainik shiksha আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার বেরোবির সাবেক প্রক্টর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে মাদরাসা-ই-আলিয়ার ভবনে অস্থায়ী আদালত বন্ধের দাবি - dainik shiksha মাদরাসা-ই-আলিয়ার ভবনে অস্থায়ী আদালত বন্ধের দাবি কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি নিয়ে নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি নিয়ে নতুন নির্দেশনা বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল - dainik shiksha বিচারকের সামনে যে হুমকি দিলেন কামরুল please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044229030609131