দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: চলতি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাস করেছে ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। ছাত্রদের পাসের হার ৮১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন শিক্ষার্থী। এক্ষেত্রে এবারো এগিয়ে রয়েছেন মেয়েরা। জিপিএ ৫ পাওয়া ছাত্রীর সংখ্যা ৯৮ হাজার ৭৭৬ জন। জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। বিদেশি কেন্দ্র থেকে পাস করেছে ২৯৮ শিক্ষার্থী। ৫১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। আর ২ হাজার ৯৬৮ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ।
রোববার (১২ মে) সকালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা। গণভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহারসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন মোট ১ লাখ ৬৩ হাজাার ৮৪৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭৪ হাজার ৬৭৭ ও ছাত্রী ৮৯ হাজার ১৬৮ জন।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ১৯ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৮৮ দশমিক ০৩ শতাংশ। মোট পাস করেছে ৯৯ হাজার ৭২১ শিক্ষার্থী। ফেল করেছে ২২ হাজার ৮১৭ জন শিক্ষার্থী। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৪ হাজার ৭৮ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ১ হাজার ৯৩৭ ও ছাত্রী ২ হাজার ১৪১ জন।
মাদারাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭০ শতাংশ ও মেয়েদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মোট পাস ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৫৪ জন শিক্ষার্থী। ফেল করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৭ হাজার ৯১১ জন। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১৪ হাজার ২০৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ৭৩৯ ও ছাত্রী ৭ হাজার ৪৬৭ জন।
নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ৮৩ দশমিক ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। যশোর বোর্ডে ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বরিশাল বোর্ডে ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। রাজশাহী বোর্ডে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৫ শতাংশ। কুমিল্লা বোর্ডে ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। দিনাজপুর বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
নয়টি বোর্ডে মোট পাস করেছে ১৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৭৮ শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ২৩ হাজার ৮৫৩ ও ছাত্রী ৭ লাখ ২১ হাজার ৮২৫। ফেল করেছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৬৫ ও ছাত্রী ১ লাখ ২৭ হাজার ২৫১ জন।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষাথী। যার মধ্যে ছাত্র ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৫৩ ও ছাত্রী ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন। ফেল করেছে তিন লাখ ৪১ হাজার ৪৪৪ জন। এর ভেতর ছাত্রী ১ লাখ ৫৯ হাজার ২০৩ ও ছাত্র ১ লাখ ৮২ হাজার ২৪১ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ২৩ হজার ৬৪৫ জন। যার মধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ৬২৩ ও ছাত্রী ১৩ হাজার ২২ জন। ফরম পূরণ করেছিলো ২০ লাখ ৩৭ হাজার ২৪২ শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪১৭ ও ছাত্রী ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৮২৫। পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিলো ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৮৮ হাজার ৭৯৪ ও ছাত্রী ১০ লাখ ২৪ হাজার ৮০৩ জন। এবার ৩ হাজার ৭৯৯ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৮৬১ প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ফরম পূরণ করেছিলো ১৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৪ জন। যার মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৩৫ ও ছাত্রী ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৯ জন। পরীক্ষা অংশগ্রহন করেছিলো ১৬ লাখ ৬ হাজার ৩৯৪ জন। এর ভিতর ছাত্র ৭ লাখ ৫৭ হাজার ২১৮ জন ও ছাত্রী ৮ লাখ ৪৯ হাজার ১৭৬ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো ১২ হাজার ৯৭০ জন। যার ছাত্র ৪ হাজার ৭১৭ ও ছাত্রী ৮ হাজার ২৫৩ জন। নয় বোর্ডে ২ হাজার ২৭২ কেন্দ্রে ১৯ হাজার ৯১৩ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো।
কারিগরি বোর্ডে ফরম পূরণ করেছিলো মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৪৮৮ জন। যার মধ্যে ছাত্র ছিলো ৯৪ হাজার ৯১৬ ও ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৭২। পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছিলো ১ লাখ ২২ হাজার ৫৩৮ জন। যার মধ্যে ছাত্র ৯২ হাজার ১৬৯ ও ছাত্রী ৩০ হাজার ৩৬৯। অনুপস্থিত ছিলো ৩ হাজার ৯৫০ জন। যার মধ্যে ছাত্র ২ হাজার ৭৪৭ ও ছাত্রী ১ হাজার ২০৩ জন। কারিগরিতে ৭০৯ কেন্দ্রে ২ হাজার ৮৭৭ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো।
মাদরাসা বোর্ডে ফরম পূরণ করেছিলো মোট ২ লাখ ৯১ হাজার ৩৯০ জন। তার মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৬৬ ও ছাত্রী ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৪। পরীক্ষা অংশগ্রহন করেছিলো ২ লাখ ৮৪ হাজার ৬৬৫ জন। যার মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪০৭ ও ছাত্রী ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৮ জন। অনুপস্থিত ছিলো ৬ হাজার ৭২৫ জন। এর ভিতর ছাত্র ৩ হাজার ১৫৯ ও ছাত্রী ৩ হাজার ৫৬৬ জন। মাদরাসা বোর্ডে ৮১৮ কেন্দ্রে ৯ হাজার ৯০৭১ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো
এসএসসি ও সমমানের ফল তিনভাবে জানতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। ফল প্রকাশ হওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক সেট পাঠিয়ে দেয়া হবে। শিক্ষার্থী সেখান থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (educationboardresults.gov.bd) প্রবেশ করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবে।
এর বাইরে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC লিখে স্পেস দিয়ে ইংরেজিতে বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর (ঢাকা বোর্ডের ক্ষেতে DHA) লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর দিতে হবে। এরপর আবারও স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে (উদাহরণ-SSC DHA ROLL YEAR)। ফিরতি মেসেজে ফল জানিয়ে দেয়া হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট পেতে বোর্ডের ওয়েবসাইট প্রবেশ করতে হবে। এরপর রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করতে হবে। তাহলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।