জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে রিট আবেদনটির অনুমতি নেওয়া হয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘ওয়াসার এমডি গত ১৩ বছর ধরে পদে আছেন। অথচ একটি পদে স্বাভাবিকভাবে ৫ বছর, তার বেশি আমাদের ইতিহাসে নাই। ২০০৯ সাল থেকে তিনি একই পদে আছেন।
‘তার সময়ে পানির দাম ৬ টাকা থেকে এখন ১৫ টাকা ইউনিটপ্রতি হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন।’
২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরে ঘষামাজা করে তাকসিমকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে আইনজীবী সুমন বলেন, ‘ওয়াসার এমডি হতে হলে যে ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা ছিল না। কম করে হলেও ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকার দরকার, সেটা কিন্তু ছিল না। তারপরও তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরপর সেই মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। তার নিয়োগপত্রে যা লেখা আছে, তা পৃথিবীর কোনো লোকের নিয়োগপত্রে এমন লেখা নাই।
‘তার নিয়োগপত্রে লেখা হয়েছে ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানেই বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বরি হয়েছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এ জন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।’
হাইকোর্টে তাকসিমের ১৩ বছরের বেতন-ভাতার তথ্য জমা দেয়ার সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ রিট হলো।