ওয়াসার কর্মচারী সমিতির নিবন্ধন বাতিল করতে তাকসিমের চিঠি - দৈনিকশিক্ষা

অনিয়ম-দুর্নীতিওয়াসার কর্মচারী সমিতির নিবন্ধন বাতিল করতে তাকসিমের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যেই ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান দাবি করছেন, সমিতির ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা তছরুপ করা হয়েছে। এ কারণে সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে কার্যক্রম বিলুপ্ত করতে ঢাকা বিভাগীয় সমবায় অফিসে চিঠি দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে অর্থ তছরুপের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগীয় সমবায় অফিসের যুগ্ম নিবন্ধক শেখ কামাল হোসেন বলেন, ঢাকা ওয়াসা প্রাথমিক সমিতি। এটি মূলত ঢাকা জেলা সমবায় অফিস দেখভাল করে। ওয়াসার এমডি সমিতির বিষয়ে যে চিঠি দিয়েছেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা ঢাকা জেলা অফিসকে বলেছি। তারা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধককে দেওয়া ওয়াসার এমডির চিঠিতে বলা হয়, ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী সমিতির নিবন্ধন দেওয়া হয়। বর্তমানে সমিতির সদস্য সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। ঢাকা জেলা সমবায় অফিস থেকে বিভিন্ন বছরে সমিতির অডিট করা হয়েছে। অডিটে আর্থিক বাজেট প্রণয়ন ও অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন খরচের মতো অবৈধ কাজ করা, পিপিআই প্রকল্পের আর্থিক হিসাব না দেওয়া, অডিট সংশোধনী দাখিল না করাসহ ইত্যাদি অডিট রিপোর্টে একাধিকবার উল্লেখ করা হয়েছে; কিন্তু সমিতির পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা পালন করা হয়নি। সমিতির একটি বিশেষ খাত হচ্ছে পিপিআই প্রকল্প। এ খাতে ২০০৫ থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার সম্পৃক্ততা ছিল। এ আয় ও ব্যয় সম্পর্কে সমবায় অডিট দল কখনোই অডিট করার সুযোগ পায়নি। সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির খামখেয়ালির কারণে অডিট ছাড়াই এ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে। থানা সমবায় অফিস অডিট করে গেছে; কিন্তু এ অনিয়মের জন্য ব্যাখ্যা তলব, শাস্তি প্রদান ও সমিতির নিবন্ধন বাতিলের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে তদন্তকালে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে, ওয়াসা কর্মচারী সমিতির সাধারণ সদস্যদের বঞ্চিত করে ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অন্যান্য কিছু প্রভাবশালী সদস্য কোনো প্রকার আর্থিক বিধি না মেনে কয়েকশ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন। একই সঙ্গে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে, মেট্রোপলিটন থানা সমবায় অফিস বিভিন্ন বছরে অডিটকালে সমিতির আর্থিক অনিয়ম ও অবৈধ ব্যয়ের বিষয়গুলো বুঝতে পেরেও তা নিরসনে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জেলা ও থানা সমবায় অফিস কোনো কঠোর ব্যবস্থা নিলে সমিতির প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা তছরুপ হওয়া থেকে রক্ষা পেত। সমবায় অফিসের অডিট নির্দেশনা না মেনে সমিতির বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপের কারণে সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে সমিতির কার্যক্রম বিলুপ্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা সংগত বলে প্রতীয়মান হয়।

জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে দুদক। এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিদেন দাখিলের জন্য দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে উপপরিচালক এসএম আখতার হামিদ ভূঁইয়া অনুসন্ধান করছেন কর্মচারী সমিতির ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি। কমিটির অন্য সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান।

দুদকের তথ্য বলছে, দুদকের অনুসন্ধান টিম অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ২০০৮ থেকে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের সমিতির হিসাব বিবরণীসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করতে ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেন। যাদের তলব করেছিল তারা হলেন কর্মচারী সমিতির চেয়ারম্যান ও ওয়াসার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, সমিতির সাবেক সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত রাজস্ব পরির্দশক খসরু আলম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাবের হোসেন, সাবেক সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান, সাবেক সহসভাপতি মো. শামসুজ্জামান, সাবেক সদস্য মো. হাসিবুল হাসান, সাবেক চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান এবং সাবেক কো-চেয়ারম্যান মিঞা মো. মিজানুর রহমান। দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন অন্য একটি টিম অনুসন্ধান করছে পদ্মা জশলদিয়া প্রকল্পের প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা, গন্ধরবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্পে ১ হাজার কোটি টাকা, দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পে ১ হাজার কোটি টাকা, গুলশান বারিধারা লেক দূষণ প্রকল্পে ৫০ কোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি, নিয়োগ ও পদোন্নতি বাণিজ্যের অভিযোগ।

‘২৬ লাখ টাকা’র প্রধান শিক্ষক নাজমার শাস্তি দাবি আনন্দময়ী স্কুল ছাত্রীদের - dainik shiksha ‘২৬ লাখ টাকা’র প্রধান শিক্ষক নাজমার শাস্তি দাবি আনন্দময়ী স্কুল ছাত্রীদের জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ইএফটিতে বেতন: ব্যাংক হিসাব নিয়ে এমপিও শিক্ষকদের অসন্তোষ - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন: ব্যাংক হিসাব নিয়ে এমপিও শিক্ষকদের অসন্তোষ পবিপ্রবিতে গাঁজাসহ ৫ মাদকসেবী আটক - dainik shiksha পবিপ্রবিতে গাঁজাসহ ৫ মাদকসেবী আটক ভর্তিতে লটারি বাতিলের দাবিতে সড়ক আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ - dainik shiksha ভর্তিতে লটারি বাতিলের দাবিতে সড়ক আটকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ প্রাথমিকের ১০ম গ্রেডের দাবি সর্বজনীন - dainik shiksha প্রাথমিকের ১০ম গ্রেডের দাবি সর্বজনীন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039949417114258