কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটির মেধাসত্ত্ব সনদ পেলেন লেখক সিদ্দিকুর রহমান খান। তিনি শিক্ষা ও সংসদ সাংবাদিকতায় দীর্ঘ সময়ে গভীর অনুসন্ধানী একগুচ্ছ প্রতিবেদনের সঙ্গে হালনাগাদ সব এক্সক্লুসিভ তথ্যজুড়ে বইটি সাজিয়েছেন। অতি বিরল ও গোপনীয় নথির সংযোজন এই প্রকাশনাকে আরো অতুলনীয় করে তুলেছে। যারা কওমি মাদরাসা নিয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো বই খুঁজছিলেন তাদের হাতে স্বস্তির বারতা হয়ে উঠতে পারে এই বই।
গত বৃহস্পতিবার এ বইয়ের মেধাস্বত্ব সনদ হাতে পান লেখক সিদ্দিকুর রহমান খান।
সরকার নিয়ন্ত্রিত আলিয়া মাদরাসার কোন সনদের স্বীকৃতি ও সমমান কবে দেয়া হয়েছিলো সে বিষয়েও লেখা রয়েছে বইটিতে। বইটির ফ্ল্যাপে লেখা আছে, একগুচ্ছ শঙ্কা ও প্রশ্ন গোয়েন্দা রিপোর্ট জুড়ে। উইকিলিকসের তারবার্তাও বাইরে নয়। প্রশ্নগুলো প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে ডালপালা গজিয়েছে সর্বত্র। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের উত্থানপর্বের আগে-পরে এই চিত্রটিও বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। সংসদের ভেতরেও প্রশ্ন ছিলো কওমি মাদরাসার উত্থান নিয়ে। এ ধারার শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবকদের এন্তার প্রশ্নেরও সদুত্তর ছিলো না। এ সংক্রান্ত সব জবাবই ছিলো ধোঁয়াশামাখা। জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়াতেও সেক্যুলার শব্দ বাতিল করিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে আসেন কওমিধারার ধারক-বাহকরা। অর্থের সন্দেহজনক উৎস, উসকানি, মৌলিক সংরক্ষণবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ --এসব প্রশ্নবোধকের জবাব খুঁজতেই একজন সিদ্দিকুর রহমান খানের অনুসন্ধান। সদরে, অন্দরে, সর্বক্ষেত্রে।
কী হয়েছিল খালেদা জিয়া, ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দীন ও শেখ হাসিনা সরকারের জমানায়?
সাংবাদিক ও লেখক সিদ্দিকুর রহমান খানের সৃজনশীলতার শুরু কবি জীবনানন্দ দাশের আজন্মসুধা ধানসিঁড়ির প্রতিবেশী নলছিটির সুগন্ধার পাড়ে। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের কোনো এক স্নিগ্ধ হাওয়ায় গা ভাসিয়েছেন কাগজে লেখার স্বপ্নে। তারপর তার কলম এগিয়েছে অভিজ্ঞতার অম্ল-মধুরতায়। লিখে লিখে জীবিকায়নের মাধ্যমটা সব সময়ই ছিলো ইংরেজি। দৈনিক নিউ এইজ, ইনডিপেন্ডেন্ট এবং বাংলাদেশ টুডেসহ কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিকে। শিক্ষার বর্ষসেরা রিপোর্টার হিসেবে একাধিকবার মিলেছে ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির সৌজন্যে’ পুরস্কার। রিপোর্টার হিসেবে পেয়েছেন আরো অনেক স্বীকৃতি ও পুরস্কার। আর শিক্ষার নানা বিশ্লেষণ বাংলায় গণপাঠকের মন ও মানসে পৌঁছে দিতে নিজের সম্পাদিত দৈনিক শিক্ষাডটকম ছাড়াও বেছে নিয়েছিলেন ইত্তেফাক, প্রথম আলো, যুগান্তর, সমকাল, মানবজমিন, সকালের খবরসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক।
বর্তমানে শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তার প্রধান সম্পাদক এবং শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম এর তিনি সম্পাদক ও প্রকাশক।
প্রকাশনাডটকম কর্তৃক প্রকাশিত বইটি দৈনিক আমাদের বার্তার অফিস, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, লেভেল -৫-এ। বইটি রকমারিডটকম ও বাতিঘরেও পাওয়া যাচ্ছে।