ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন জনপদ। সড়ক ও নৌ পথে ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। দিনের বেলাতেও সড়কে হেড লাইট জালিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। গত তিন দিন ধরে এমনই পরিস্থিতি চলছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা পড়েছে চরম বিপাকে। শীত নিবারণে পর্যাপ্ত কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে প্রান্তিক জনপদে।
কুড়িগ্রাম রাজার হাট আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টায় জেলায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনে তাপমাত্রা মোটামুটি সহনীয় থাকলেও রাতে নেমে যায়। তারওপর কনকনে শীতল বাতাস শীতের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার প্রায় সাড়ে চারশ চরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির মত ঝড়ে পড়া কুয়াশায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছে ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠান্ডায় সব্জি ক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় তাদের দুঃশ্চিন্তা দিন দিন বেড়েই চলছে।
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের টাপু ভেলাকোপা গ্রামের মোঃ আসলাম হোসেন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমি হোটেলে কাজ করতে যাচ্ছি। সারারাত কনকনে ঠান্ডা, দিনের বেলাও একই অবস্থা। এমন অবস্থায় আমার মতো খেটে খাওয়া মানুষজনের কষ্টের শেষ নেই। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে তো পেটে ভাত জুটবে না।
ধরলা পাড়ের নজরুল ইসলাম দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, দুতিন দিন ধরে খু্ব ঠান্ডা পড়ছে। সকালে উঠে জমিতে কাজে যেতে হয়। কাজ করতে গিয়ে হাত পা বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, এ মাসে একটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।