এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব শূন্যপদের বিপরীতে কাম্য শিক্ষার্থী নেই সেসব পদে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হচ্ছে। এ সব পদে ভবিষ্যতে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশ করা যাবে না বলে শর্ত আরোপ করে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আর তাই শিক্ষক নিয়োগের আবেদনে প্রতিষ্ঠান পছন্দের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এ শর্তটি আরোপ করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে এনটিআরসিএকে বলেছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল বুধবার রাতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৮ হাজার ৩৯০টি শিক্ষক শূন্যপদের নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। আগামী ২৯ ডিসেম্বর বেলা ১২টা থেকে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু হবে। ১ হাজার টাকা ফি দিয়ে একটি মাত্র আবেদনে ৪০টি প্রতিষ্ঠান পছন্দ দিতে পারবেন প্রার্থীরা। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ যেসব প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর বা তার কম তারা শিক্ষক নিয়োগে আবেদনের সুযোগ পাবেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, প্রার্থীদের প্রতিষ্ঠান চয়েস বা পছন্দ প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ করা হলো। যেসব প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট শূন্যপদের বিপরীতে কাম্য শিক্ষার্থী নেই সেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরে বা ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে, বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যেসব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সেসব পদে পরে বা ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ করা যাবে না।
এর আগে গতকাল বুধবার প্রকাশিত আদেশে এনটিআরসিএকে দুই শর্তে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে সম্মতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উপসচিব মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এনটিআরসিএকে দেয়া শর্তগুলোর একটি হলো, নিয়োগ সুপারিশের বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যে সব এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্যপদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই, সে সব পদে পরবর্তীতে বা ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ দেয়া যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় শর্ত আরোপ করতে হবে।
অপর শর্তে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাইকৃত বিষয়ভিত্তিক শূন্যপদগুলোর বিপরীতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যানবেইস এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকেও এ সব তথ্য সংগ্রহ করে যাচাই করতে হবে।
আদেশে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এনটিআরসিএ থেকে পাঠানো শূন্য পদগুলোতে সুপারিশের জন্য চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি এসব শর্তে প্রকাশের সম্মতি দেয়া হলো।
এর আগে গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায় কম শিক্ষার্থী থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কম শিক্ষার্থী থাকা এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে। এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য শিক্ষার্থী না থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও বাতিল করার বিষয়ে আলোচনা হয় ওই সভায়।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।