ঝালকাঠিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংর্ঘষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের ৮ নং হরিপাশা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, আওয়ামী লীগ কর্মী মনির হোসেন, আলমগীর হোসেনসহ কমপক্ষে ১০ আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহাম্মুদসহ দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ৮ নং হরিপাশা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলছিলো। এক পর্যায়ে নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যার রেজাউল কবির উপস্থিত নেতাকর্মীদের সম্মতিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বাদে অন্য পদে নেতাকর্মীদের নাম ঘোষণা করছিলেন।
এমন সময় হরিপাশা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হালিম গোলনদাচ এতে আপত্তি করে মাইকে বলেন এই যাদের নাম বিভিন্ন পদে ঘোষণা করেছেন তাদের দলীয় কর্মসূচীতে পাওয়া যায় না। এতে বিভিন্ন পদে ঘোষণা হওয়া নেতাকর্মীরা আপত্তি জানায়।
পরে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও মারধর শুরু করে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান। পরে উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ঝালকাঠি সদর থানার এএসআই মাসুম বিল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহত তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহাম্মুদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসীরা ঢুকে হঠাৎ করে আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাক-বিতন্ডা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সংর্ঘষ হয়। পরে আমরা গিয়ে বিবাদ বন্ধ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।