সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ অনেক আগেই দিয়েছিলো উচ্চ আদালত। সে অনুযায়ী ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ মে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ওই কমিটি গঠন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের তাগিদও দিয়েছিলো। কিন্তু, তারপর সাড়ে তিন বছর পার হয়ে গেলেও অনেক প্রতিষ্ঠানেই এখনও এ কমিটি গঠন করা হয়নি।
বিষয়টিকে আদালত অবমাননার শামিল উল্লেখ করে গত বৃহস্পতিবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এজন্য এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে। একই সঙ্গে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে এখনো এ কমিটি গঠন করেনি তাদের তালিকা তৈরি করে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠাতে বলেছে আঞ্চলিক পরিচালক ও উপপরিচালকদের (মাধ্যমিক)।
অধিদপ্তরের তরফে বলা হয়েছে, এ নির্দেশের ব্যত্যয় হলে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যৌন হয়রানির বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত পরিচালনা এবং সুপারিশ করতে কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করবে। কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য হবেন নারী। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান হবেন নারী। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সৎ, দক্ষ এবং সক্রিয় সদস্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কমিটির দুইজন সদস্যকে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে হবে। এক্ষেত্রে জেন্ডার ও মানবাধিকার বিষয়ের কর্মীরা অগ্রাধিকার পাবেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কমিটি অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখবে। অভিযোগ গ্রহণকারী কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করবে। প্রয়োজনে এ সময়সীমা ৬০ কর্মদিবস পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের সামনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ বক্স থাকবে। কমিটি গঠনের তদারকির বিষয়টি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করবেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।