গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কমিটি নিয়ে একটি মাদরাসার তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেলেও মঙ্গলবার সকালে মাদরাসা উপস্থিত সিক্ষার্থীদের বারান্দায় বসিয়ে পাঠদানের কাজ চলছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার তিন গ্রামের মানুষের মাঝে উত্তেজনায় বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী ও তিন গ্রামের বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মাথালিয়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মাওলানা জহিরুল ইসলাম পাশের কান্দাপাড়া চন্ডিতলা গ্রামে একটি মাদরাসা করেন। কামারিয়া, কান্দাপাড়া ও চন্ডিতলা গ্রামের মানুষের সমন্বয়ে কান্দাপাড়া চন্ডিতলা, কামারিয়া নূরাণী হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা নামকরণ করা হয়।
ওই মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জহিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমাদের কাছে দু’ই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। ওই চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা মাদরাসায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। একই দাবী জানিয়েছেন ওই মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জালাল উদ্দিন।
নিজেকে ওই মাদরাসার সভাপতি দাবী করে হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয় কয়েকজন মিলে ৩শতাংশ জমি মাদরাসার নামে ওয়াকফা করে দিয়েছেন। কিন্তু ওই মাদরাসার টাকায় সাড়ে ৫শতাংশ জমি কিনেন পিন্সিপাল মাওলানা জহিরুল ইসলাম। তা নিজের নামে নিয়েছেন। কমিটি কোনো বিষয় নয়, মুলত ওই সম্পত্তি মাদরাসার নামে ওয়াফকা না করায় বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত চাঁদা দাবী কারীদের মধ্যে মুঠোফোনে মোঃ কদ্দুস জানান, আমরা কোনো চাঁদা দাবী করি নাই। তবে আমরা নয়, জমি ওয়াফকা নিয়ে গন্ডগোলের কারণে গ্রামপুলিশের মাধ্যমে ওই মাদরাসায় তালা দিয়েছে স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, মাদরাসায় তালা দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখে আমাকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।