ব্যক্তির ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বা ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাবা-মা বা আইনগত অভিভাবকের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা আরও ৫০ হাজার টাকা বাড়বে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনকালে এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতার করমুক্ত আয়সীমা বিদ্যমান সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে পৌনে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে যথাক্রমে পৌনে ৫ লাখ টাকা ও ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া নারী বা ৬৫ বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে চার লাখ টাকা করা হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষকে একটু স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে সংসদে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি পরবর্তী ধাপগুলোতেও কর হার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ব্যক্তির আয় সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হলে পরবর্তী এক লাখ টাকায় বা সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৫ শতাংশ, পরবর্তী তিন লাখ পর্যন্ত আয়ে ১০ শতাংশ, এর পরের চার লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকা বা মোট বার্ষিক আয় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা হলে ২০ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। আয় এর বেশি হলে অবশিষ্ট অংশের ওপর ২৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।