ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে মাধ্যমিকের ১৫ শিক্ষক-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা হলেন চাঁদপুর মতলবের লোকমান হোসেন ও মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মাগুরার মুহম্মদপুরের সহকারী শিক্ষক মেহনাজ খাতুন, খুলনা ফুলতলার অসীম কুমার বিশ্বাস, দিনাজপুর বিরলের সুরজিৎ কুমার রায়, দিনাজপুর বীরগঞ্জের আইয়ুব আলী, রাজশাহীর দুর্গাপুরের শাউলিয়া খাতুন, কাউছার আহম্মেদ, ডালিমা নাজরীন, মোহাম্মদ রাজ্জাক ও ফাহিমা আক্তার। সিলেট দক্ষিণ সুরমার জাকিয়া সুলতানা, জাকিয়া জান্নাত, মাজেদা খাতুন ও মোছাম্মত মুক্তা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে মাধ্যমিকের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন করা প্রতিষ্ঠানে ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। তাদের বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছু জানেন না বলে পরিদর্শকদের জানানো হয়।
মাউশি কর্মকর্তারা বলছেন, তারা কোনো ধরনের ছুটি না নিয়ে স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে উপস্থিত না থাকার সুস্পষ্ট কারণ মাউশিতে পাঠাতে হবে তাদের।
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন) অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, যাদের শোকজ করা হয়েছে, তাদের অধিকাংশই দু-তিনদিন স্কুলে যান না। তবে এটা সতর্কীকরণ নোটিশ। ভবিষ্যতে কেউ এমন করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।